সাবেক পর্ণ তারকা সানি লিওন পরিচয় গোপন করে বাংলাদেশ ঢুকেছেন। তার আগমনকে কেন্দ্র করে দেশের মানুষ অনেকটাই ক্ষিপ্ত হলেও সরকারকেই দুষছেন। সামাজিক মাধ্যমে সানি লিউন ও সরকারের ভূমিকা নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ইলিয়াস মাহমুদ নিরব নামের একটি ফেসবুক আইডির লেখা তুলে ধরা হলো-
পর্ন তারকা সানির বাংলাদেশে আগমন, সরকারের নিষেধাজ্ঞা এবং ধর্মীয় সংগঠনের নিরবতা!
গানবাংলা টিভির কর্ণধারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে একটি গানের শুটিংএ আসার জন্য দরখাস্ত করেন সানি লিয়নসহ তার দশ জন সহশিল্পী।
নানান কারনে বিতর্কিত হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার তাদের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বাতিল করেন। এরপরেও তিনি বাংলাদেশে আসেন। বিমানবন্দরে নেমে "ওয়েলকাম টু বাংলাদেশ" এমন ডিজিটাল বোর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে বিজয় চিহ্ন দেখিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেন।
তার এই উচ্ছাসের কয়েকটি কারন থাকতে পারে। একটি হলো সরকার তার ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করলেও তিনি ভিজিট ভিসা দিয়ে আসতে পেরেছেন। তিনি লুকোচুরি/কৌশল করে সফল হয়েছেন। এ দেশের এক আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আরেক আইনের মাইরপ্যাচে বৈধ ভাবেই এসেছেন।
এর আগেও বেশ কয়েকবার আসতে চেয়েও ধর্মীয় নেতাদের হুমকি ধামকিতে সরকার ভয়ে আসতে দিতে চায়নি কিন্তু এবার তিনি ধর্মীয় নেতাদের পক্ষ থেকেও কোন ধরনের মিছিল মিটিং তো দূরের কথা বিবৃতি বিরোধিতারও সম্মুখীন হন নি।
এ দেশে তার যে কোটি কোটি দর্শক আছেন সেটা তিনি জানেন। তাদের মৌন উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছেন।
তথ্য মন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমরা একটি বিবৃতি লক্ষ করেছি গণমাধ্যমে তিনি বলছেন সানি তার ভারতীয় ভিসা এবং তার পরিচিত নামের পরিবর্তে মার্কিন ভিসা এবং সেই ভিসার নামে ঢুকে পড়েছেন বাংলাদেশে।
বিষয় টা যদি এতই সরল হয় তা হলে বাংলাদেশ সরকার কি কোন জবাবদিহিতার সম্মুখীন করবে তাঁকে?? বা যে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা তাঁকে নিয়ে এসেছেন তিনিও নিশ্চয়ই বাংলাদেশ সরকারের মনোভাবের বিষয় অবহিত তা হলে তিনি কোন সাহসে বা কার ইন্ধনে নিয়ে এসেছেন? সেই জবাবদিহিতা কি তিনি করবেন??
গত কয়েকবছর আগের রেকর্ড অনুযায়ী বাংলাদেশ গুগলে "sex" শব্দ সার্চ দেয়াতে বিশ্বে ২য় ছিল।
বিশ্বের পর্ন সাইট গুলোর বিপুল ভিউয়ার্চ যে এই দেশে সেটা ওই সার্ভে থেকে প্রমাণিত। সানি লিওন সেই সাইট গুলোর এক্টর। তিনি বাংলাদেশে এসেছেন তার জামাই!সহ।
তাঁকে ব্রান্ডিং করছেন বাংলাদেশেরই একটি টেলিভিশন কর্তা/নির্মাতা। একটি গানের শুটিংয়ের জন্য। এটা সত্য যে সেটা করতে পারলে সেই গান হিট হবে। তার দর্শকের বিপুল অংশ বাংলাদেশী।
অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে এমন এক্টররা বাংলাদেশে আসুক বা না আসুক তারা তাদের কর্মকাণ্ড বিশ্বের যে প্রান্তে বসেই করুক নির্দিষ্ট ভিউয়ার্চদের কাছে সেটা পৌঁছাবেই।
এতদসত্যেও দুটি প্রশ্ন।
একটি হলো তিনি বাংলাদেশ সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে প্রবেশ করে কোন অন্যায় করেছেন কি না? বাংলাদেশ সরকার এর কোন জবাবদিহিতা নিবে কি না?
২য় হলো যে সব ধর্মীয় সংগঠন এর আগে এসব বিষয় সোচ্চার ছিলেন তাদের নিরবতার কারন কি??