ছবি: সংগৃহীত
দেশের কয়েকটি জেলার আকাশে ৫০ সেকেন্ড স্থায়ী একটি দ্যুতিময় আলো দেখা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে আকাশে এটি দৃশ্যমান হয়। এনিয়ে মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে কৌতূহল। কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, খুলনা, ফরিদপুর ও সাতক্ষীরা জেলার কেউ কেউ এটি দেখেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি প্রকাশ করে জানিয়েছেন।
এছাড়াও ভারতের বাঁকুড়া, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি-সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় এটি দৃশ্যমান হয়েছে বলে আনন্দবাজার পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে। এ নিয়ে জল্পনা কল্পনার অন্ত নেই। কেউ বলছেন এটি মিসাইলের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন, কেউ বলছেন এটি উল্কা।
আনন্দবাজার পত্রিকায় এ ব্যাপারে জ্যোতির্বিজ্ঞানী সন্দীপ চক্রবর্তীর মতামত তুলে ধরা হয়েছে। তার মতে, এই আলোর ৩টি কারণ থাকতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, ওই আলো দেখা গিয়েছে আকাশের দক্ষিণ দিকে। তার মতে, প্রথমত এই আলো উল্কাপাতের কারণে হতে পারে। তিনি বলেন, ‘‘এখন উল্কাবৃ্ষ্টি হচ্ছে। তবে সেটা সন্ধ্যা নয়, রাত ১২টা নাগাদ হয়। কিন্তু, এটা দেখে মনে হচ্ছে আলোর আকার কিছুটা বড়। এটা যে জেমিনিড শাওয়ার নয় সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।’’
তার মতে, ‘‘এটা রকেটের কোনও অংশ হতে পারে।’’ তিনি জানিয়েছেন, আলোটি বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে গিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘‘দেখে মনে হচ্ছে, কোনও রকেটের জ্বালানি ফুরিয়ে গিয়েছে। তারই একটি ছোট অংশ পৃথিবীর দিকে আসছে। সেই অংশটি আকারে ছোট বলেই তার আলো তত উজ্জ্বল।’’
তৃতীয় একটি সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন সন্দীপ। তাঁর মতে, ‘‘কোনও জায়গা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়ে থাকতে পারে। তারও আলো হতে পারে এটা।’’ তাঁর মতে, ক্ষেপণাস্ত্র হলে সে ক্ষেত্রে আলো দিকচক্রবালে মিলিয়ে যাওয়ার আগে অনেক বেশি ক্ষণ ধরে দেখা যাওয়ার কথা। ফলে আলোর উৎস ঘিরে রহস্য থাকছে বলেই সন্দীপের মত।
টর্চ লাইটের আলোর মতো উজ্জল এ আলোটি উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে গিয়ে আকাশে মিশে যায়। উৎসুক জনতা প্রথমে টর্চ লাইটের আলোর মতো আলোক দ্যুতি ভেসে যেতে দেখে অন্যদের দেখানোর চেষ্টা করে। প্রায় ৫০ সেকেন্ড স্থায়ী আলোটি দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পর আকাশে মিলে যায়।
এনএনবিডি ডেস্ক :
মন্তব্য করুন