ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সংকট নিরসনের দাবিতে প্রধান ফটকে গাড়ি আটকিয়ে অবরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১০ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ ও শৈলকূপা রুটের গাড়ি প্রায় আধাঘন্টা আটকে অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম ঘঠনাস্থলে এসে সংকট নিরসনের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বর্তমান প্রশাসন বিভাগের সেশন জট, একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে গতি, যুগোপযোগী বিভাগ খোলাসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেছেন। কিন্তু এখন ক্যাম্পাসের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল পরিবহন সংকট। ক্যাম্পাসে আগে বিভাগ ছিল ২৫টি, এবছর নতুন ৮টি বিভাগ চালু হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও পর্যাপ্ত পরিবহন সুবিধা বাড়েনি। ফলে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও শৈলকুপা থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াতের ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, যে গাড়ি গুলো আছে তাও ফিটনেসবিহীন। গাড়ি সংকটের মধ্যে আবার এসব লক্কড়ঝক্কড় মার্কা গাড়িতে আমাদের অনেক কষ্ট ও অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়ে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান না করলে বিশ^বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষর্থীদের সাথে নিয়ে আরো কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো আমরা।
পরিবহন অফিস সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বহন করার জন্য বাস আছে মোট ৪৭টি। এর মধ্যে নিজস্ব মাত্র ১৬টি। এ ১৬টির মধ্যে আবার সচল রয়েছে মাত্র ১১টি। ভাড়ায় চালিত ৩১টি বাসের মধ্য ১৫টি কুষ্টিয়া সড়কে, ১১টি ঝিনাইদহ ও ৫টি শৈলকুপা সড়কে চলাচল করে।
এ বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, পরিবহন সংকট সমাধানে আমরা অতিদ্রুত ৪ টি নিজস্ব নতুন বাস ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া চলমান পরিবহন সংকট নিরসনে কুষ্টিয়া রুটে ৪ টি এবং ঝিনাইদহ রুটে ২ টি নতুন বাস সংযুক্ত করার জন্য প্রশাসন বরাবর সুপারিশ দিয়েছি। আশা করি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সংকটের দ্রুত সমাধান হবে।
মন্তব্য করুন