নাম - ছবি : সংগ্রহীত
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ ঠাকুরগাঁওয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে এক পরিবারকে হয়রানী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এমন অভিযোগ করেন সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের বরুনাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ইউনুস আলী।
গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে বরুনাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা কুতুব উদ্দীন বাদী হয়ে ইউনুস আলী সহ তাঁর পরিবারের ৯ সদস্য এবং অজ্ঞাত আরো ৭ জনকে আসামী করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা বলে অভিযোগ ইউনুসের।
ইউনুস আলী অভিযোগ করে বলেন, বরুনগাঁও গ্রামে খাস খতিয়ানভুক্ত ৫০ শতক জমি সরকারিভাবে লিজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছি আমিসহ আমার পরিবারের অন্য সদস্যরা। এই জমিটি জোরপূর্বক দখল করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে পায়তারা করে আসছিল প্রতিবেশী আবুল কালাম আজাদ, কুতুব উদ্দীন সহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
গত বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে প্রতিবেশী আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে কুতুব উদ্দীন সহ একদল সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের ঐ ৫০ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করে। এসময় সন্ত্রাসীরা ওই জমির উপর থাকা গাছপালাসহ ঘরবাড়ি ভাংচুর করে। সন্ত্রাসীদের বাঁধা দিতে গেলে তাঁরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার পরিবারের সদস্য গৃহবধু জহুরা বেগম, পুতুল, মনোয়ারা বেগম ও রহিমা বেগমকে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত অবস্থায় আহত ৪ গৃহবধুকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমি নিজেই বাদী হয়ে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে আবুল কালাম আজাদ (৫৮), কুতুব উদ্দীন (৪৫), স্বপন (২৮), খায়রুল ইসলাম (৩৫), জয়নাল (৪২), খোকন (৩০), রবি (২৫) সহ অজ্ঞাত ৭ জনকে আসামী করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করি। অন্যদিকে কুতুব উদ্দীন বাদী হয়ে পাল্টা আরেকটি মামলা আমাদের উপর করে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার দুপুরে কুতুব উদ্দীনের মামলাটি মিথ্যা বলে সত্যতাও পাওয়া গেছে।
কুতুব উদ্দীনের মামলার বিষয়ে কথা হয় তাঁর ভাতিজী সুরমা আক্তারের সাথে। কে আপনাকে মারপিট করেছে, কি দিয়ে আপনার মাথায় আঘাত করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কিছুই জানিনা।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কুতুব উদ্দীনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় রাসেল ইসলাম বলেন, গত বৃহস্পতিবার কুতুব উদ্দীনের লোকজন ইউনুসের জমি দখল করার চেস্টা করেছিল; এসময় ইউনুসের পরিবারের ৪জন সদস্য আহত হয়েছিল দেখেছি। কিন্তু এখানে কুতুব উদ্দীনের পরিবারের কোন লোকজন আহত হয়নি। তাহলে কুতুব উদ্দীন কিভাবে মামলা করল বুঝতে পারছি না।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, আমরা মামলাটি তদন্ত করছি; তদন্তে সত্যতা বেড়িয়ে আসবে। তদন্ত শেষে আমরা আদালতে মামলার চার্জশীট দাখিল করব।
জুনাইদ কবির
মন্তব্য করুন