ছবি: এনএনবিডি
নারী মুক্তির অগ্রদূত রাসূল (সা.) এর কালজয়ী উক্তি “তোমরা নারীর যথার্থ মর্যাদা দাও। তাকে শুধু ভোগের বস্তু মনে করো না। মনে রেখ, সমগ্র মানব-মন্ডলী একটি পাখি স্বরুপ, নারী ও পুরুষ তার দুটি পাখা বা ডানা” -(মোহাম্মদ সা.)।
নারী ও পুরুষ উভয়েই এ পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সমাজ গঠনে এই দুটো অঙ্গ সব সময় একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে থাকে। একটি ছাড়া অপরটি কখনোই পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারে না।
যুগে যুগে সমাজ ও জাতি গঠনে নারী-পুরুষ পাশাপাশি থেকে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে এসেছেন।নারী-পুরুষের সমন্বিত ভূমিকার মাধ্যমেই পরিবার , সমাজ এবং রাষ্ট্রর যথার্থ উন্নয়ন সম্ভব।
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, পৃথিবীতে যত নবী-রাসূল (সা:) এসেছেন, তাঁদের সহযোগিতায় প্রতিটি জাতি থেকে এগিয়ে এসেছিলেন কিছু মহিয়সী নারী। তাদের সাহায্য-সহযোগিতা, ত্যাগ-কোরবানি ও ভূমিকার কারনে সেই সমাজ গঠনের কাজটাও সহজ হয়েছিল। সেই সাথে তাদের অনন্য সাধারণ মানবিক গুণাবলিও দক্ষতা যুগে যুগে মুমিন নারীদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছে।
প্রিয় নবী মুহম্মদ (সা.) বলেন, দুনিয়ার সব নারীর মধ্যে চারজন নারীর বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। তারা হলেন, হজরত মরিয়ম (আ.), হজরত আসিয়া (আ.), হজরত খাদিজা (রা.) ও হজরত ফাতেমা (রা.)।
এ ছাড়া ইসলামের ইতিহাসে আরও অসংখ্য নারী ছিলেন যারা জ্ঞানে, গুণে, সততা আর প্রজ্ঞায় এখনো সকল নারীর জন্যই অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছেন। ইসলামী পদ্ধতিতে জীবনযাপন করে মুসলিম নারীরা অতীতে যেমন পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে অনুপম ও উজ্জ্বল কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন বর্তমানেও মহান আল্লাহ প্রদত্ত বিধিবিধান পালন করে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মর্যাদার সাথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।
সুতরাং শুধুমাত্র শ্লোগান সর্বস্ব বুলিতে আর বিভ্রান্তি নয়।
মহান আল্লাহ নারী সমাজকে সকল ধরনের বিভ্রান্তির পথ পরিহার করে, স্রষ্টার বিধানের অনুগত থেকে প্রত্যেকের অবস্থানের আলোকে যোগ্যতার সাথে সমাজ গঠনে এগিয়ে যাবার তৌফিক দিন।
সাবিকুন্নাহার মুন্নী
মন্তব্য করুন