নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার আলামত দেখতে পাচ্ছি না: মির্জা ফখরুল
নাম - ছবি : সংগ্রহীত
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার আলামত দেখতে পাচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ও দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দদের নিয়ে যে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন তা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত। আমরা তার এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি আগামী দিনে এরকম আপত্তিকর মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
আজ সোমবার দুপুরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা থেকে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভোটারবিহীন প্রধানমন্ত্রীর ন্যূনতম মূল্যবোধ থাকলে পদত্যাগ করে নতুন করে নির্বাচনের উদ্যোগ নিতেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনী বছরে অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা নেই। যখন সরকার পরিবেশ ঘোলাটে করবে যাতে জনগণ তাদদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে তখনই আশঙ্কা এবং অঅস্থিতিশীলতা দেখা দিবে। শীতকালীন সংসদীয় অধিবেশনের শুরুতে উন্নয়ন এবং গণতান্ত্রিক ধারা অব্যহত রাখতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে ৭ দিনের কর্মসূচি
দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
কর্মসূচির মধ্যে আছে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা, রচনা প্রতিযোগিতা, দুঃস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
আজ সোমবার সকালে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে যৌথসভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
যৌথ সভা শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরোত্তমের ৮২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাতদিন ব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ১৮ জানুয়ারি থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে।
১৯ জানুয়ারি জিয়ার জন্মবার্ষিকীর দিন কেন্দ্রীয় ও সারাদেশে দলীয় কার্যালয়সমূহে ভোরে দলীয় পতাকা উত্তোলন ও সকাল ১০টায় শেরে বাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতির মাদারে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হবে।
১৮ জানুয়ারি রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে দলের পক্ষ থেকে আলোচনা সভা হবে।
জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন পোস্টার প্রকাশ করবে। জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্রও প্রকাশ করবে বিএনপি।
মুক্তিযোদ্ধা দল, যুব দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, মহিলা দল, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন, ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনসমূহ আলোচনা সভা, শ্রমিক শোভাযাত্রা, শীতবস্ত্র বিতরণ, রচনা প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র প্রদর্শনীসহ নানা কর্মসূচি করবে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির পাশাপাশি জেলা-উপজেলা পর্যায়েও জিয়ার জন্মবার্ষিকী পালনের জন্য সকল ইউনিটকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান রিজভী।
যৌথ সভায় সদ্য মরহুম সাবেক এমপি জয়পুরহাটের মোজাহার আলী প্রধান, নাটোরের শিংড়া পৌর মেয়র শামীম আল রাজী, চট্টগ্রামে উত্তরর কাজী আবদুল্লাহ আল হাসান, ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার গোলাম রাব্বানী, বাগেরহাটের মিয়া আব্বাস উদ্দিনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নুরে আরা সাফা, এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, মীর সরফত আলী সপু, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, আশরাফউদ্দিন বকুল, রাশেদা বেগম হীরা, আবদুস সালাম আজাদ, জন গোমেজ, তাইফুল ইসলাম টিপু, শরীফুল আলম, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, আবদুল আউয়াল খান, মনির হোসেন, ফরিদা মনি শহীদুল্লাহ, মাশুকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
মন্তব্য করুন