নাম - ছবি : সংগ্রহীত
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : তখন ভোর রাত। সুবহে সাদিকের ঠিক আগ মুহুর্ত। ঘন কুয়াশা। কনকনে শীত। হু হু করে কাদঁছে লাখো মানুষ। মুর্হুমুহু আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত পুরো এলাকা। ১৯ দিনব্যাপী চুনতী সিরাতুন্নবী (সঃ) মাহ্ফিলের আখেরি মুনাজাতের দৃশ্য এটি। বুধবার ফজরের নামাজের আগে অনুষ্ঠিত হয় আখেরি মুনাজাত। মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে একটানা আখেরি মুনাজাতের আগ পর্যন্ত চলে নির্ধারিত বিষয়ে বিদগ্ধ আলেমগণের আলোচনা।
সমাপনী দিবসের সমাপনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ সমাজসেবক মাওলানা সিরাজুল আরেফিন ছিদ্দিকি।
মুহাদ্দিছ মাওলানা ফারুক হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মাহ্ফিলে সমাপনী বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ মাওলানা হাফিজুল হক নিজামী ও মরহুম শাহসাহেব কেবলার দৌহিত্র মাওলানা আব্দুল মালেক মুহাম্মদ ইবনে দিনার নাজাত। নির্ধারিত বিষয়ে আলোচনা করেন, বায়তুশ শরফের পীর বাহরুল উলুম শাহ্ মাওলানা কুতুব উদ্দিন, ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আহ্সান সাইয়্যেদ, বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সাইয়িদ আবু নোমান, মরহুম শাহ্ সাহেব কেবলার ঘনিষ্ট সহচর ও চুনতী মাদ্রাসার গভনিং বডির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মাওলানা কাজী নাছির উদ্দীন, মাওলানা নাজিম উদ্দিন মোল্লা, মাওলানা খন্দকার মাহবুবুল হক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মাওলানা মুখলিসুর রহমান, অধ্যক্ষ মাওলানা আমিনুল্লাহ, মাওলানা ইউছুফ বিন নুরী, হাফেজ মাওলানা কামাল উদ্দিন, মাওলানা জাকারিয়া আল হোসাইনি, অধ্যাপক ড. হাফেজ মাওলানা শহিদুল ইসলাম বারাকাতি প্রমুখ।
এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আবচার, ইরান সংস্কৃতি কেন্দ্রের পরিচালক ড. মাওলানা ইসা শাহিদী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ এনামুল হক, বড়হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জুনাইদ, লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহ্জাহানসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
মুনাজাতে আরাকানের নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য দোয়া করার সময় মুসল্লিদের কান্নার আওয়াজে পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে। এছাড়া বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে নিপিড়িত মজলুম আলেমদের জন্যও দোয়া করা হয়।
এর আগে রাত নামার সাথে সাথে ঐতিহাসিক সিরাত ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে। প্যান্ডেল ছাড়িয়ে খোলা আকাশের নিচে জড়ো হতে থাকে মুসল্লিরা। ঘন কুয়াশা ও প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে মানুষের উপস্থিতিতে পুরো গ্রাম ভরে যায়। দেশের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও পাশের কয়েক রাষ্ট্র থেকে ধর্মপ্রাণ তৌহিদী জনতা মাহ্ফিলে উপস্থিত হয়।
ও এফ এম মাসুম
মন্তব্য করুন