ছবি:সংগৃহীত
নোয়াখালীর মাইজদীতে গৃহবধূ নুরুন্নাহার ও তার মেয়ে প্রিয়ন্তী হত্যার ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি ওমান প্রবাসী আলতাফ হোসেন।
গতকাল রাত ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। স্বীকারোক্তি দেওয়া আলতাফ হোসেন লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের চর মেহের গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ৮টা থেকে ১নং আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম মোসলেহ উদ্দিন মিজান আসামি আলতাফ হোসেনের ১৬৪ ধারায় আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ডের পর আদালতের নির্দেশে আসামিকে রাত ১১টার দিকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
জবানবন্দি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গৃহবধূর স্বামী ফজলে আজিম কচির দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আলতাফকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতে দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান শেষে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
ওসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, দোষ স্বীকার করে আসামি আলতাফ হোসেন জানান, প্রবাসে থাকা অবস্থায় পরিচয় হওয়া গৃহবধূ নুরুন্নাহারের আশ্বাসে ভিসা বাতিল করে দেশে আসেন তিনি। ৮ জুন দেশে এলেও পরিবারের কাউকে জানাননি আলতাফ। প্রতিশ্রুতির ৩ লাখ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আলতাফের সাথে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে আসামি তার পকেটে থাকা ছুরি দিয়ে নুরুন্নাহারের গলায় ধরে আঘাত করলে তিনি চিৎকার দিয়ে তার মেয়ের রুমে চলে যায়।
নুরুন্নাহারের মেয়ে প্রিয়ন্তীকে হত্যা করার ইচ্ছা আসামির ছিল না উল্লেখ করে ওসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, নুরুন্নাহার তার মেয়ের রুমে যাওয়ার পর সেখানে গিয়ে তার গলায় ও ঘাড়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে আসামি। ওই সময় মেয়ে ফাতেহা আজিম প্রিয়ন্তী ঘুম থেকে উঠে মাকে বাঁচানোর জন্য মায়ের পিঠের ওপর পড়লে আসামি তাকেও এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন।
প্রতারণা করায় নুরুন্নাহারকে হত্যা করে। তবে তার মেয়ে প্রিয়ন্তীকে হত্যার ইচ্ছা আসামির ছিল না বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন।
এনএনবিডি, ডেস্ক:
মন্তব্য করুন