একথা অনস্বীকার্য যে, আমাদের দেশে লাগামহীন দুর্নীতি ও অনিয়ম চালু থাকার কারণেই জাতীয় অগ্রগতি তো নেই-ই বরং আমরা স্থিতাবস্থাও ধরে রাখতে পারছি না। বিশে^র অপরাপর জাতি যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন আমরা শুধু আত্মপ্রচার সর্বস্ব জাতি হওয়ার জন্য প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়েছি। দুর্নীতি আমাদের দেশের সকল ক্ষেত্রেই সর্বগ্রাসী রূপ নিয়েছে। সরকারি-বেসরকারি কোন খাতই এই অনাসৃষ্টি থেকে মুক্ত নয়। কিন্তু সরকারি ক্ষেত্রে দুর্নীতির মাত্রাটা অনেক বেশী। মূলত সরকারি কাজে দুর্নীতি বলতে বোঝায় নিজের স্বার্থে জনগণের ক্ষমতার অপব্যবহার করা। কিন্তু এটা মোটেই সর্বসাম্প্রতিক নয় বরং ক্ষমতার এমন অপব্যবহার অতিপ্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে।
পবিত্র বাইবেলেও এতদবিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে। যা বিচার সংক্রান্ত কাজে উৎকোচ বা ঘুষ নিতে বারণ করে। আর এতে প্রমাণিত হয় যে, এই কাজ ৩,৫০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পরিচিত। হাদিস শরীফেও ঘুষ দাতা ও গ্রহিতার প্রতি কঠোর হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে। মূলত দুর্নীতির সঙ্গে ঘুষ নেওয়া ছাড়া আরও অনেক কিছুই জড়িত। দুর্নীতিগ্রস্থ সরকারি কর্মকর্তারা শুধু নগদ অর্থই গ্রহণ করে না বরং ক্ষেত্র বিশেষে জিনিসপত্র হরণ করে, অনৈতিক উপায়ে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করে অথবা এমনকী তহবিল থেকে সরাসরি চুরি করে। এ ছাড়া তারা তাদের বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য অন্যায়ভাবে তাদের পদমর্যাদাকে ব্যবহার করে। যা আমাদের দেশে রীতিমত অপ্রতিরোধ্য ট্রাডিশনে পরিণত হয়েছে। আর আমরা এ অভিশাপ থেকে কোন ভাবেই মুক্ত হতে পারছি না। ফলে আমাদের জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতিও থমকে গেছে।
দুর্নীতি শুধু আমাদের দেশে নয় বরং প্রায় সকল জাতি-রাষ্ট্রেই কমবেশী রয়েছে। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রটা অনেকটাই আলাদা। বিশে^র প্রায় রাষ্ট্রেই রাষ্ট্রীয় আইন প্রয়োগের মাধ্যমে দুর্নীতি ও অনিয়মকে সীমিত ও সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্ট করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে পরোক্ষভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার অভিযোগটা উপেক্ষা করার মত নয়। আমাদের মূল সমস্যাটাও সেখানেই। দুর্নীতি নিয়ে আমাদের দেশে রাজনীতিকদের মুখে অনেক বড় বড় কথা শোনা গেলেও কোন সরকারই দুর্নীতি প্রতিরোধে সফল ও কার্যকর ভুমিকা পালন করে নি বরং প্রায় সব সরকারের আমলে দুর্নীতি নিয়ে যত ‘ ঢাক ঢাক গুর গুর’ খেলা হয়ে তার প্রায় সবই ছিল অন্তঃসারশুণ্য। তাই জাতি হিসেবে আমরা এ অভিশাপ থেকে এখনও মুক্তি পাইনি।
সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তাকে দুর্নীতি তথা উৎকোচ গ্রহণের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেড়িয়েছে। কর্মরত অবস্থায় ২ জন সরকারি কর্মকর্তা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে গ্রেফতারকে দেশের সচেতন মানুষ ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। কারণ, এমন দৃশ্য আমাদের দেশে কালেভদ্রেও নজরে পড়ে না। কিন্তু বিপত্তি সৃষ্টি হয়েছে অন্য জায়গায়। কারণ, সরকারের কোন কোন মন্ত্রী আবার এসবকে অপরাধ বলে মনে করেন না। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সহনীয় পর্যায়ে ঘুষ গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে শুধু লোক হাসাননি বরং দুর্নীতি ও উৎকোচকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন বলেই মনে করেন সচেতন মানুষ। যা আমাদের আদর্শিক দেউলিয়াত্বের দিকেই অঙ্গলী নির্দেশ করে।
এর আগে বর্ষীয়ান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মোহিত কাজ দ্রুত করানোর ক্ষেত্রে অর্থ লেনদেনকে ‘স্পীডমানি’ আখ্যা দিয়ে তা বৈধ বলে স্বীকৃতি দেন। তিনি এ ক্ষেত্রে উন্নত বিশে^র স্পীড মানির কথা উল্লেখ করেন। অবশ্য পাশ্চাত্য দেশগুলোতে যে ধরণের স্পীডমানি লেনদেনের নিয়ম চালু আছে তার ধরন ও আঙ্গিক সম্পূর্ণ আলাদা। তাই উন্নত বিশে^র এই স্পীডমানিকে আমাদের দেশের ইচকে চোর, ফিসকে চোর ও সিঁদেল চোরদের কাজের সাথে তুল না করার কোন সুযোগ আছে বলে মনে হয় না বরং তাকে আত্মপ্রতারণা বলায় অধিক যুক্তিযুক্ত।
জানা যায়, এসব স্পীডমানির অর্থ সেসব দেশে ব্যক্তি পর্যায়ে গ্রহণ করা হয় না বরং তা সংশ্লিষ্ট দপ্তর, বিভাগ বা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে তা জমা হয়। কিন্তু মন্ত্রীমহোদয় আমাদের দেশে এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তাদের পক্ষে যেভাবে ওকালতি করলেন তা এসব অর্বাচীনদের অনাচারের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি বৈ কিছু নয়। আমাদের দেশেও সীমিত পরিসরে হলেও এই স্পীডমানির সিষ্টেম চালু আছে। পাসপোর্ট ও শিক্ষাবোর্ড-বিশ^বিদ্যালয় সনদপত্র গ্রহণের সময় দ্রুত পাওয়ার জন্য জরুরি ফি প্রদান করতে হয়। তা কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উদরস্থ করতে পারেন না বরং তা সংশ্লিষ্ট বিভাগের তহবিলে জমা পরে। তাই অর্থমন্ত্রীর আমাদের দেশে প্রচলিত ঘুষের সাথে ষ্পীডমানির সাথে তুলনা করা যৌক্তিক হয়েছে বলে মনে হয় না। বিষয়টি ‘ কিসে আর কিসে ধানে আর তুষে’র মতই শোনায়।
ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে যখন সরকারি ২ কর্মকর্তা গ্রেফতার ও কারারুদ্ধ হলেন তখন সরকারের ২ জন মন্ত্রীর কথা ঘুড়েফিরে আলোচনায় এসেছে এবং সে আলোচনা এখনও অব্যাহত আছে। কারণ, এসব মন্ত্রীর বিবেচনায় একটা সীমা-পরিসীমা পর্যন্ত ঘুষ বা অবৈধ লেনদেন অবৈধ নয় বরং তা আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থায় রীতিমত ট্রাডিশনে পরিণত হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন সরকারি ২ কর্মকর্তা অবৈধভাবে যে অর্থ গ্রহণ করেছিলেন তা মাননীয় অর্থমন্ত্রী ঘোষিত স্পীডমানির আওতাভূক্ত কি না ? যদি হয়ে থাকে তাহলে এমন একটা বৈধ কাজের জন্য প্রজাতন্ত্রের ২ জন কর্মকর্তাকে কেন গ্রেফতার করে অপদস্থ করা হচেছ ? ষ্পীডমানি বা উৎকোচ তথা ঘুষের তফাৎটাই বা কী ? তাই ঘুষ বা উৎকোচের নতুন সংজ্ঞায়নও জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মনে হচ্ছে। আর ঘুষের মাত্রা কতখানি হলে তা সহনীয় বলে বিবেচনা হবে তাও নির্ধারিত হওয়া জরুরি। তাই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কাজকে সহজ ও ঝুঁকিমুক্ত করতে বিষয়টি আরও খোলাসা হওয়া দরকার বলেই মনে হয়।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, দুর্নীতি ও উৎকোচ গ্রহণের দায়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাই ধরে নিতে হয় যে, অভিযুক্তদের ঘুষ গ্রহণ ষ্পীডমানি বা সহনীয় মাত্রায় ঘুষের আওতায় পড়েনি তাই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২৩ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক আদেশে শিক্ষামন্ত্রীর পিও (ব্যক্তিগত কর্মকর্তা) মোতালেব হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিনকে আলাদা আদেশে বরখাস্ত করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ২৩ জানুয়ারি এক আদেশে বলেছে, ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার হওয়ায় মোতালেব হোসেনের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।
সমস্যা হলো যারা দুর্নীতি ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন তাদের নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ বা কোন নীতিনির্ধারণের অধিকার নেই। মূলত এসব নি¤œপদস্থ কর্মকর্তারা মধ্যস্বত্ত্বভোগী ফরিয়া হিসেবে কাজ করে থাকেন। তাই একথা নিশ্চিত যে এসব কর্মকর্তারা দুর্নীতির অনুঘটক হতে পারেন কিন্তু মূল হোতা হন। কিন্তু উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগে এসব কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করা হলেও এরা কাদের সাথে এসব লেনদেন করতেন, কারা ফাইলপত্র সই তাদের অবৈধ কাজে সহযোগিতা করতেন এসব বিষয়ে কোন অনুসন্ধান হচ্ছে বলে এখনও জানা যায়নি। আর অনুসন্ধানের পরিসর ততদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হবে বলে মনে হয় না। কারণ, এতে কেচোঁ খুঁড়তে সাপ বেড়িয়ে আসার একটা সম্ভবনা থাকে। তাই একথা নিশ্চিত যে, অনুসন্ধানের উদ্দেশ্য চুনোপুটি কিন্তু কোনভাবে গডফাদার ধরা নয়। তাই এসব করে কেউ সাময়িক আত্মবিনোদন লাভ করতে পারেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হবে বলে মনে হয় না। কারণ, আমাদের দেশের দূর্নীতির শেকড় অনেক গভীরে। তাই রাঘববোয়ালরা থাকেন সব সময়ই ধরাছোঁয়ার বাইরে।
খুব সঙ্গত কারণেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত অসাধু ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা অধরাই থেকে যাচ্ছেন। এ ধরনের কর্মকর্তারা দুর্নীতিবাজদের তদবির বাস্তবায়ন করলেও ধরা পড়ছে কর্মচারীরা। দুর্নীতিবাজরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এসব অপকর্ম করলে এর সঙ্গে জড়িত নেপথ্যের রাঘববোয়ালদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। ফলে তারা দ্বিগুণ উৎসাহে নতুন করে তদবির বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট ফাইল নিয়ে বসছেন। তাই তারা অবৈধ কর্মকান্ডে কোন ব্যবচ্ছেদ ঘটছে না।
আসলে দুর্নীতিবাজদের তদবির বাস্তবায়নে যারা সহায়তা করেন তারা নি¤œপদস্থ কেউ নন। পিও বা উচ্চমান সহকারীর পক্ষে তদবির বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। এরা মাঠ পর্যায় থেকে লোকজন ধরে আনেন; দালানী করে মধ্যস্বত্ব ভোগ করেন। কাজের জন্য চুক্তি করে টাকা আদায় করেন। এর ভাগবাটোয়ারা করে অনেক দূর পর্যন্ত ভাগ দেন। মূলত এই পর্যায়ের কর্মচারীরা ফাইলে স্বাক্ষর করতে পারেন না। কর্মকর্তার স্বাক্ষর ছাড়া ফাইল অনুমোদন হয় না। তদবিরও বাস্তবায়ন হয় না। মূলত গত ৭-৮ বছরে মন্ত্রণালয়ে বড় সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। সিন্ডিকেটে দায়িত্বশীল অনেক অসাধু কর্মকর্তাও জড়িত। এদের সঙ্গে আছেন অসৎ কর্মচারীরাও। তাই দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে হলে দ্রুত দায়িত্বশীল পদে কর্মরত অসাধু কর্মকর্তাদের চিহ্নিত ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শুধু লোক দেখানো কোন কাজ দুর্নীতি প্রতিরোধে মোটেই সহায়ক হবে না বরং তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধিই পাবে।
আমাদের দেশের দূর্নীতির পরিসর খুবই বিস্তৃত। বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদের আত্মস্বীকৃতি থেকেই বিষয়টি খুবই পরিস্কার হয়ে যায়। তিনি সম্প্রতি বলেছেন, শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। মন্ত্রীরাও চোর। এমননি কি তিনি নিজের দিকে অঙ্গলী নির্দেশ করে বলেছেন আমিও চোর। তাই আমাদের দেশের দূর্নীতি ও অনিয়ম যে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে তা বলায় বহুল্য। রাষ্ট্রের এমন কোন সেক্টর নেই যে সেক্টর দুর্নীতিও অনিয়ম মুক্ত। সচীবালয় থেকে শুরু করে একেবারে ইউনিয়ন কাউন্সিল অফিস পর্যন্ত কোন অফিসই দুর্নীতির রাহুগ্রাস থেকে মুক্ত নয়। দুদক চেয়ারমানের এক গণশুনানীর তথ্যবিবরণী মাঠ পর্যায়ের দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, উপজেলা ভূমি অফিস, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়, সেটেলমেন্ট অফিস, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, সমাজসেবা, সমবায় অফিস, উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সেবা নিতে সংশ্লিষ্টরা ব্যাপকভাবে হয়রানির শিকার এবং সেবাগ্রহিতাদের অনেক ক্ষেত্রেই ঘুষ প্রদান করতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু দেশে একটি প্রতিষ্ঠিত সরকার, প্রশাসন ও দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশন থাকলেও তা এখন অপ্রতিরোধ্যই হয়ে উঠেছে। মাঝেমধ্যে চুনোপুটিদের ওপর দিয়ে ঝড়ঝাপটা গেলেও রথী-মহারথীরা থাকেন সব সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে।
দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে সবার আগে রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে জাতীয় ঐক্যের বিষয়টি উপেক্ষা করা যায় না। কারণ, আমাদের দেশে দুর্নীতি সর্বগ্রাসী রূপ নিয়েছে। তাই দেশকে কার্যকরভাবে দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে দুর্নীতির শেকড়ই উপরে ফেলতে হবে। শুধুমাত্র ডালপালা কেটে দিয়ে কার্যকর কোন সুফল পাওয়া যাবে বলে মনে হয়। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রণালয়ে ২ কর্মকর্তা দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার ও চাকুরীচ্যুত হলেও দুর্নীতির রথী-মহারথীদের এখন কেশাগ্র ম্পর্শ করা সম্ভব হয়নি। তাই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কোন অর্জনই সফল ও টেকসই হবে না।
মন্তব্য করুন