• , |
  • ঢাকা, বাংলাদেশ ।
সর্বশেষ নিউজ
* দিনাজপুর শহর জামায়াতের উদ্যোগে ওলামা মাশায়েখদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত * শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু * রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট * রাজধানীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ২ * লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪ * ইউনূসকে নিয়ে অযথাই শঙ্কায় নয়াদিল্লি * ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত মানবে না ছাত্রদল * জাবিতে শামীমকে পিটিয়ে হত্যায় ছাত্রলীগ নেতা হাবিব গ্রেফতার * তোফাজ্জল হত্যার দায় স্বীকার করে ৬ ঢাবি শিক্ষার্থীর জবানবন্দি * যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জামায়াতকে প্রস্তুত থাকতে হবে : বুলবুল

সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র

news-details

ফাইল ছবি


বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর দর্শনীয় জায়গা হলো সেন্টমার্টিন দ্বীপ।যা বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিনে বঙ্গোপসগরে অবস্থিত। সারা বছরই এই দ্বীপে যাতায়াত করেন হাজার হাজার দেশী-বিদেশী পর্যটক।নীল সাগরের উত্তাল ঢেউ আর দ্বীপের অপরুপ সৌন্দর্য নয়ন-মন ভরে দেয়।

সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তের ওপার থেকে আসা গুলীর কারনে বন্ধ হয়ে যায় মানুষের যাতায়াত। আটকা পড়ে বহু পর্যটক ও সাধারণ মানুষ। দেখা দেয় তীব্র খাদ্য সংকট।৯দিন পর কক্সবাজার জেলা প্রশাসন বিশেষ জাহাজে করে ২শ টন খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য পাঠিয়ে আপাতত দ্বীপবাসীর খাদ্য সমস্যার সমাধান করেছে।তবে ঘটনা এখানেই শেষ নয়,এটা মাত্র শুরু বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল। এই সুন্দরতম দ্বীপটাকে নিয়ে চলছে গভীর ষড়যন্ত্র। শকুনিরা অনেক দূর থেকে এটাকে ছিড়ে ছিড়ে খাওয়ার মহাপরিকল্পনা করছে।সতর্ক পদক্ষেপ না নিলে বড় ক্ষতি ও ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হবে এক সাগর রক্তে অর্জন করা বংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৈৗমত্বকে।

সাম্প্রতিক ঘটনাবলির প্রেক্ষাপট বিষয়ে জানা যায়,প্রায় এক দশক পূর্বে সেন্টমার্টিন দ্বীপ সংলগ্ন স্থানে বঙ্গোপসাগরের মাঝে দুটি স্থানে বালুচর জেগে ওঠে। এই দুটো বালুচরের কারণে  ভাটার সময়ে সেন্টমার্টিনে চলাচল করা যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযানগুলো সাগরের ভেতর  মিয়ানমারের একটি অংশ ব্যবহার করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সঙ্গে বাংলাদেশের বিজিবির সমন্বয়ের কারণে এই চলাচলে ইতিপূর্বে কখনোই কোনো বাধার সৃষ্টি হয়নি। তবে সাম্প্রতিক অতীতে আরাকান আর্মি মিয়ানমারের এই অঞ্চল দখল করে নেয়ার কারণে সৃষ্ট সমন্বয়হীনতার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের সেন্টমার্টিনগামী ট্রলার ও নৌযানগুলোকে লক্ষ্য করে আরাকান আর্মি গুলি ছুড়ছে। ফলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাণিজ্যিক ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল সাময়িক স্থগিত করার কারণে সেন্টমার্টিনে বসবাসকারীদের মধ্যে খাদ্য সংকট তৈরি  হয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা সমালোচনা চলছে।

আরো জানা যায়, কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় নাফ নদী এবং বঙ্গোপসাগরের মোহনায় গোলারচর নামক এলাকায় আনুমানিক ২ কিলোমিটার জুড়ে বড় একটি বালুর চর এবং গোলারচর থেকে আনুমানিক ৫-৭ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরের মধ্যবর্তী স্থানে নাইক্ষ্যংদিয়া নামক স্থানে ১ কিলোমিটারের মধ্যে আরো একটি বালুর চর ভাটার সময় জেগে ওঠে। ফলে টেকনাফ দমদমিয়া কেয়ারী জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা করা যাত্রী ও পণ্যবাহী জাহাজ, মাছ ধরার ট্রলার, সার্ভিস বোট এবং স্পিডবোটসহ সব ধরনের নৌযানগুলোকে গমনাগমনের সময় জেগে ওঠা বালুর চরের কারণে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম বাউন্ডারি লাইনের (আইএমবিএল) এর মিয়ানমার অংশের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা ব্যবহার করতে হয়। বর্ণিত চর দুটি ড্রেজিং করা হলে মিয়ানমারের জলসীমা আর ব্যবহারের প্রয়োজন হবে না।  

পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবর থেকে সেন্টমার্টিনে চলাচল নিয়ে অতিসম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনা নীচে দেওয়া হলোঃ

গত ১ জুন বিকাল সাড়ে ৩টায় টেকনাফ পৌরসভার নৌকা ঘাট থেকে ১টি ট্রলার সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে মুদি মালামাল ও ১০ জন যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যায়। আনুমানিক বিকাল সাড়ে ৪টার সময় নাইক্ষ্যদিয়া খাল এলাকা অতিক্রমের সময় আরাকান আর্মি ট্রলারকে লক্ষ্য করে ৬-৭ রাউন্ড ভারী অস্ত্র ফায়ার করা হয়। ঐ ফায়ারের ফলে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং ট্রলারটি বিকাল ৫টা ৫৫ মিনিটে সেন্টমার্টিন দ্বীপে নিরাপদে পৌঁছে।

গত ৫ জুন সেন্টমার্টিনের জিনজিরায় স্থগিতকৃত একটি কেন্দ্রে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদের ফলাফল নির্ধারণের জন্য ভোট গ্রহণ করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটের দিকে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট শাফকাত আলীর নেতৃত্বে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ২৭ জন সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফের উদ্দেশে মেটাল শার্ক ও কাঠের বোটযোগে টেকনাফে ফিরছিলেন। পথে নাফ নদী এবং বঙ্গোপসাগরের মোহনায় নাইক্ষ্যংদিয়া চর এলাকা অতিক্রম করার সময় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের মেগিচং এলাকা থেকে মেটাল শার্ক ও কাঠের বোটকে লক্ষ্য করে আরাকান আর্মি গুলিবর্ষণ করলে মেটাল শার্কে ২ রাউন্ড এবং কাঠের বোর্ডে ৪ রাউন্ড গুলি লাগে। পরবর্তীতে ঐ বোট এবং মেটাল শার্ক দুটি নিরাপদে টেকনাফ কোস্টগার্ডের বোটপুলে ফিরে আসে।

গত ৮ জুন আনুমানিক ১২টার দিকে নাইক্ষ্যংদিয়া খাল সীমান্তে নাফ নদীর মোহনায় ২টি কাঠের ট্রলার, টেকনাফ পৌরসভাস্থ কাউকখালী ঘাট থেকে সিমেন্ট, রড ও ৬ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাযোগে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে যাওয়ার পথে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের মেগিচং ক্যাম্পের ওয়াচ টাওয়ার থেকে আরাকান আর্মি কর্তৃক আনুমানিক ১৫-২০ রাউন্ড গুলি করা হয়। পরে ট্রলার দুটি ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে ফিরে আসে। এতে ১টি ট্রলারে ৭ রাউন্ড গুলি আঘাত হানে। এ ঘটনায়ও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

১১ জুন সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের গোলারচরের বিপরীতে মিয়ানমারের নাইক্ষ্যংদিয়া খাল সীমান্তে নাফ নদীর মোহনা হয়ে একটি স্পিডবোটযোগে সেন্টমার্টিনের ৫ জন স্থানীয় বাঙালি শাহপরীর দ্বীপ জেটি থেকে সেন্টমার্টিনে গমন করছিল। পথে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের মেগিচং বিজিপি ক্যাম্পের ওয়াচ টাওয়ার এলাকা থেকে আরাকান আর্মি বর্ণিত স্পিডবোটকে লক্ষ্য আনুমানিক ৪-৫ রাউন্ড গুলি করে। এতে স্পিডবোটে অবস্থানরত বাঙালিরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। যদিও কেউ হতাহত হয়নি। পরবর্তীতে ১১টার দিকে স্পিডবোটটি সেন্টমার্টিনে পৌঁছায়।

উপরিউক্ত গুলিবর্ষণের ঘটনাসমূহের কারণে বিগত কয়েকদিন যাবত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকার কারণে খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সরবরাহ ব্যাহত হয়।  সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৮ হাজার ৪৯২ জন বাসিন্দা বসবাস করে। জেলা ও উপজেলা পর্যায় থেকে খাদ্য/পণ্য সরবরাহ করা না গেলে এই দ্বীপের বাসিন্দারা খাদ্য সংকটে পড়তে পারে। কারণ, সেন্টমার্টিনের সাধারণ জনগণ মূলত টেকনাফ থেকে খাদ্যপণ্য নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে জীবন-যাপন করে। বিরাজমান পরিস্থিতিতে গত ১৩ জুন থেকে কক্সবাজার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে বঙ্গোপসাগর হয়ে বড় বড় ট্রলারে সেন্টমার্টিনে পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখা হচ্ছে। 

জানা যায় যে, নৌযান চলাচল স্থগিত এবং খাদ্য সংকটের পাশাপাশি মিয়ানমার নৌবাহিনীর টহল বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্বীপটির স্থানীয়দের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। এমতাবস্থায় প্রশাসন কর্তৃক দ্বীপের স্থানীয়দের আতংকিত না হওয়ার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।এর পাশাপাশি বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত গুলিবর্ষণের ঘটনা রোধকল্পে আরাকান আর্মির সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয়সাধন করা যেতে পারে। 

এছাড়াও সমস্যাটির স্থায়ী সমাধানের জন্য টেকনাফের সাবরাং টুরিজ্যম ইকো পার্ক সংলগ্ন সাগর উপকূলে একটি জেটি ঘাট নির্মাণ করা যেতে পারে। উল্লেখ্য, টেকনাফের সাবরাং ইকো পার্ক বিচ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দূরত্ব আনুমানিক ২৪ কিলোমিটার। অপরদিকে বর্তমান জেটিঘাট (দমদমিয়া কেয়ারী জেটিঘাট) থেকে সেন্টমার্টিনের দূরত্ব আনুমানিক ৩৪ কিলোমিটার। টেকনাফের সাবরাং টুরিজ্যম ইকো পার্ক সংলগ্ন সাগর উপকূলে জেটি ঘাট নির্মাণ করা হলে সেন্টমার্টিনের সঙ্গে টেকনাফের যোগাযোগ সহজ ও কম সময়ে সম্পন্ন হবে এবং স্থানীয় জেলে, পর্যটক ও সেন্টমার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দাদের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে গমনাগমন কম সময় সাপেক্ষ, সহজ ও নিরাপদ হবে।

সাম্প্রতিককালের ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে পত্র পত্রিকা এবং সোস্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠলেও সরকার রহস্যজনকভাবে নীরব।বরং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন,বিবৃতি দেয়ার মত কিছুই ঘটেনি।

সেন্টমার্টিন ইস্যুতে সরকারের নিরবতা দাস সুলভ মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার পথে মিয়ানমার থেকে গুলি করা হচ্ছে, সেখানে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। কিন্তু সরকার এখনো নীরব। সরকারের নতজানু নীতির কারণেই এমন হচ্ছে। বাংলাদশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্র বানিয়ে ফেলেছে সরকার। সীমান্তে হত্যা করলেও, পানি না দিলেও সরকার কথা বলে না।

মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের পরে ‘সেন্টমার্টিন যদি বেদখল হয়ে যায়, বাংলাদেশ কোন প্রক্রিয়ায় সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে—এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আক্রান্ত হলে সেই আক্রমণের জবাব তো আমরা দেবো। আমরাও প্রস্তুত।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিনে কোনো জাহাজ যেতে পারছে না। মিয়ানমার থেকে গুলি চালানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কিছু দিন আগে বলেছেন, আমাদের জলসীমায় কোনো একটি রাষ্ট্র ঘাঁটি করতে চাচ্ছে, আমরা চক্রান্তের শিকার হচ্ছি কি না—গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গাদের যে স্রোত এবং মানবিক আবেদনে প্রধানমন্ত্রী সেদিন উদারভাবে সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী কিছু দিন আগে বলেছেন, আমাদের জলসীমায় কোনো একটি রাষ্ট্র ঘাঁটি করতে চাচ্ছে। তিনি রাষ্ট্রটির নাম উল্লেখ না করলেও বুঝতে কষ্ট হয়না যে,দেশটার নাম যুক্তরাষ্ট্র । প্রধানমন্ত্রী তাতে সায় দেননি। এজন্য তিনি বাহবা পেতেই পারেন।বিশ্ব মোড়ল রাষ্ট্রটি তার চির প্রতিদ্বন্দি চীনের মোকাবেলায় কৌশলগত কারণে সেন্টমার্টিনকে বেছে নিতে চায়।তাইওয়ানকে চীন থেকে আলাদা করতে চায়। উত্তর কোরিয়ার মোকাবেলায় দক্ষিণ কোরিয়ার শক্তি বৃদ্ধি করতে চায়। বাংলাদেশ আমেরিকাকে এই সুযোগ দিলে ভারত-চীন উভয়েরই রোষানলে পড়বে।চীন-ভারত পরষ্পর প্রতিদ্বন্দি হলেও এখানে রয়েছে তাদের উভয়ের অভিন্ন স্বার্থ।

ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যকেন্দ্রিক সমস্যাকে জিইয়ে রাখা হচ্ছে। একদিকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়া হচ্ছেনা,অন্যেদিকে সেদেশের সামরিক সরকারের সাথে আরাকান আর্মীর লড়াই দীর্ঘায়িত হচ্ছে। বর্তমানে টেকনাফ এবং সেন্টমার্টিন এলাকা তারাই নিয়ন্ত্রণ করছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 


শহীদুল ইসলাম

মন্তব্য করুন