ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশ অনুমোদনের জন্য আগামীকাল বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উঠছে বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের ১০০ দিনের কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
অভিযুক্ত রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ট্রাইব্যুনাল সুপারিশ দিতে পারবে, খসড়া অধ্যাদেশে এমন বিধান রয়েছে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সব ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
উপদেষ্টা জানান, সাইবার সিকিউরিটি আইনে ‘কথা বলার অধিকারের জন্য’ যেসব মামলা হয়েছে, সেগুলোও সব বাতিল হয়ে যাবে। তবে হ্যাকিং ও সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত মামলাগুলো চলমান থাকবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর সারাদেশের চার হাজার তিন শ’ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, এতো বেশি সংখ্যক নিয়োগ বাংলাদেশে এর আগে ঘটেনি। এর মাধ্যমে সব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহার করা সম্ভব হবে। এখন যে ঢালাও মামলা হচ্ছে, মামলা বাণিজ্য করা হচ্ছে; তাও প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
যারা এমন ‘মামলা বাণিজ্য’ করছে, তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় এই ব্যবস্থা নিবোই।’
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা কাজ করছি। ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে।’
এরইমধ্যে বিভিন্ন মামলায় পলাতক আসামিদের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, দেশে কোনো আসামিকে না পেলে রেড এলার্ট জারির আবেদন করতেই পারি। বাংলাদেশ ইন্টাপোলের সদস্য।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা নিজে পালিয়েছেন, পরিবার এবং স্বজনদেরও তিন দিন আগে পাঠিয়েছে। অথচ ফোনকলের মাধ্যমে দলীয় কর্মীদের বিপদে ফেলছেন। নেতাকর্মীদের তাকে প্রশ্ন করা উচিত, কেন পালিয়েছেন?’
আরেক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সরকার আওয়ামী লীগের মতো দমন-পীড়ন চায় না। অযৌক্তিক আন্দোলনের মাধ্যমে নানা দুর্ভোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। সরকার বিষয়গুলো দেখছে। কঠোর হলে সরকার ভালোভাবেই কঠোর হবে।
এনএনবিডি ডেস্ক
মন্তব্য করুন