• , |
  • ঢাকা, বাংলাদেশ ।
সর্বশেষ নিউজ
* ‘শেখ হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে পররাষ্ট্রসচিবদের বৈঠকে আলোচনার সুযোগ আছে’ * খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের * ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় বাড়াল কর্তৃপক্ষ * সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্মান জানানোয় গোটা জাতি আনন্দিত: মির্জা ফখরুল * রাশিয়া আন্তঃমহাদেশীয় মিসাইল ছুড়েছে, দাবি ইউক্রেনের * ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২১৪ * এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে জনগণই হবে সকল ক্ষমতার মালিক: প্রধান উপদেষ্টা * প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় * চব্বিশের আন্দোলনে নায়ক খুঁজলে ছাত্রশিবির প্রথম সারিতে থাকবে: মঞ্জুরুল ইসলাম * জামায়াত নেতা আজহারের রিভিউ আবেদন আপিল বিভাগের কার্যতালিকায়

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি

news-details

ছবি: সংগৃহীত


মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম তার মন্ত্রণালয়কে অভিবাসী শ্রমিক কোটা অপব্যবহারের সঙ্গে জড়িত কোম্পানির মালিক বা এজেন্টদের স্থায়ীভাবে ব্লকলিস্ট করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

আজ দেশটির জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম মালয়েশিয়াকিনি তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘এ থেকে বি’ পর্যন্ত সিন্ডিকেটকে উল্লেখ করে মানবসম্পদ মন্ত্রী বলেন, যেখানে ‘কোম্পানির মালিকরা’ প্রকৃতপক্ষে শ্রমিকদের প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও হাজার হাজার অভিবাসী শ্রমিকের জন্য কোটা সংগ্রহ করে কয়েক মিলিয়ন রিঙ্গিত উপার্জন করছে।

আপনার কাছে যদি এমন তথ্য থাকে, তবে আমাদের সাথে শেয়ার করুন। প্রমাণিত হলে, আমরা এই কোম্পানির মালিকদের স্থায়ীভাবে ব্লকলিস্ট করব. কুয়ালালামপুরে অভিবাসী শ্রমিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১২তম যৌথ কমিটির বৈঠকের পর তিনি এসব কথা বলেন।

সিম আরও বলেন, এই সিন্ডিকেট সম্পর্কে যেকোনো তথ্য থাকা ব্যক্তিদের পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি), এবং শ্রম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করতে বলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, যদি এটি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনেও হয়, তবুও আমরা ব্যবস্থা নেব। আর যদি এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পড়ে, তাহলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

এর আগে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইলের সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সিম এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন এবং তিনি আরো বলেছেন, আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই, কারণ তারা শুধু সিন্ডিকেটটি প্রকাশ করেনি বরং এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ ধরনের সিন্ডিকেটের সংখ্যা কমে যাওয়াকে সাফল্য হিসেবে দেখছে।

হুঁশিয়ারি দিয়ে মন্ত্রী আরো বলেছেন, আমি বলতে চাই, প্রতিবেদনটি উল্লেখ করেছে যে এতে শুধুমাত্র সরকারি কর্মকর্তারা এবং এজেন্টরা নয়, কোম্পানির মালিকরাও জড়িত। আমরা সবাইকে সতর্ক করছি, এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হতে হবে। অভিবাসী শ্রমিক ব্যবস্থাপনায় ক্ষমতার অপব্যবহারের ক্ষেত্রে, এটি পুরো সমাজের সহযোগিতা প্রয়োজন। সরকার স্বচ্ছ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এবং দক্ষ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে পারে, কিন্তু ভুয়া আবেদনের মতো সমস্যা মূলত বড় একটি চ্যালেঞ্জ। আমরা কঠোর অবস্থান নিচ্ছি। কোম্পানির মালিকরা এজেন্টদের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে না। কোম্পানির মালিকদের সরাসরি আমাদের কাছে আবেদন করতে হবে।

যদি আমরা এর কোনো ব্যত্যয় পাই, তাহলে আমরা শুধু এজেন্টদের বিরুদ্ধে নয়, এই শ্রমিকদের ব্যবহারকারী কোম্পানি মালিকদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেব।

মালয়েশিয়াকিনির তথ্যমতে, এই সিন্ডিকেটটি ১৯৯৬ সাল থেকে সক্রিয় রয়েছে এবং আংশিকভাবে কিছু আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের যোগসাজশের কারণে এটি দমন করা কঠিন ছিল।

পরীক্ষায় দেখা গেছে, তাদের উদ্দেশ্য প্রতিটি কোম্পানির মালিক কোটা বিক্রি এবং শ্রমিকদের অস্থায়ী কর্মসংস্থান ভিজিট পাস (পিএলকেএস) প্রতি বছর রিনিউ করে লক্ষ লক্ষ রিঙ্গিত আয় করতে পারে।


এনএনবিডি ডেস্ক

মন্তব্য করুন