ছবি-সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের হত্যা, গ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষকরা। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে পৃথক দুটি কর্মসূচিতে এ প্রতিবাদ জানান তারা।
সকাল ১১টায় নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষক ঐক্যের ব্যানারে অংশ নেন বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ৮০ জন শিক্ষক। এরা সবাই চবির বিএনপি-জামায়পন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের সদস্য বলে জানা গেছে। এতে রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী বলেন, শুধু শিক্ষার্থী নয় সাধারণ মানুষ ও শ্রমজীবীদের ওপরও গুলি চালানো হয়েছে, যারা কি-না পরিবারের প্রয়োজনে বাইরে বের হয়েছিল। এতে করে আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা করা হয়েছে।
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শহীদুল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের কথা আমরা বারবার বলি। কিন্তু ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে যে তিনটি আদর্শের কথা বলা হয়েছিল, এর প্রথমটি হচ্ছে সাম্য। আমাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মূল কথাও সেটা। এটা তো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। স্বাধীনতার চেতনা। এটি বাস্তবায়নের জন্যই তারা মাঠে নেমেছে। তাহলে কেন তাদের বুকে গুলি করা হলো? কেন তাদের রাজাকার বলা হলো? ওরাই এ প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা।
একইদিন বেলা ১২টায় নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষক সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষকদের আরেকটি অংশ। এদের বেশিরভাগই বামপন্থী শিক্ষক বলে জানে গেছে। এতে প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ২১১টি প্রাণের ক্ষতি স্থাপনা ধ্বংসের ক্ষতির চেয়ে অনেক বেশি। রাষ্ট্রের স্থাপনা নিয়ে কথা বললে আমরা প্রাণের বিষয়ে কথা বলছি না। এখনো যারা নিরাপত্তা হেফাজতে রয়েছে, জেলে রয়েছে, নজরদারিতে রয়েছে, তাদের সবাইকে রাষ্ট্রীয় আইন মেনে সসম্মানে মুক্তি দেওয়া উচিত।
চট্টগ্রাম ব্যুরো
মন্তব্য করুন