• , |
  • ঢাকা, বাংলাদেশ ।
সর্বশেষ নিউজ
* ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৩৯ * সরকার কি চাইলে এখন রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দিতে পারে? * রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনের রাস্তা অবরোধ * পদত্যাগ করতে রাষ্ট্রপতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম * ১০১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শেষ করল বাংলাদেশ * জামায়াত আমিরের সাথে জাতিসঙ্ঘের আবাসিক সমন্বয়কের সাক্ষাৎ * পুলিশের ২৫২ এসআইকে অব্যাহতিতে রাজনৈতিক কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * মাহফুজ আনামের কাছে প্রশ্ন: হাসিনা-মুজিবের দুঃশাসনের পার্থক্য কোথায়? * ইরানকে গোপন তথ্য দেয়ায় ৭ ইসরাইলি আটক * নিরাপত্তার স্বার্থে এখনই শীর্ষ নেতার নাম ঘোষণা করছে না হামাস

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জাতির অনেক প্রত্যাশা

news-details

ফাইল ছবি


অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জাতির অনেক প্রত্যাশা। জাতি চায় যারা চিহ্নিত স্বৈরাচারের দোসর, তারা যেন রাষ্ট্রের কোনো স্থানে না থাকে। এরা যদি থাকে তাহলে রাষ্ট্র, সরকার, দেশকে ব্যর্থ করে দেবে। বিপ্লবকে ব্যর্থ করে দেবে। জনগণের স্বপ্নের মৃত্যু হবে। সরকারের কাছে সাফ বার্তা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থেকে তাদের অবশ্যই সরিয়ে দিতে হবে। যারা খুনিদের ডান হাত, বাম হাত ছিল। খুনিদের সহচর ছিল। তাদেরকে প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।অবাক হওয়ার বিষয় হলো যেসব পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে তা পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের বি টিম। এটা প্রত্যাশিত নয়। জনগণ চিহ্নিত স্বৈরাচারের দোসর

শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। জনগণের উপর সীমাহীন জুলুম,নির্যাতন চালানো হয়েছে।কাউকে টু শব্দটিও করতে দেয়া হয়নি।জনগণের প্রত্যাশা প্রতিটি হত্যাকান্ড এবং প্রতিটি জুলুমের বিচার হোক। ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার পতনের পর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজজামান বলেছিলেন,আমি দায়িত্ব নিচ্ছি,প্রতিটি হত্যাকন্ডের বিচার হবে।জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সেই প্রত্যাশায় বুক বেধে আছে।

৫ আগষ্ট ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের পর জনগণের প্রত্যাশা এমন একটি দেশ  যে দেশ অন্য কোনো শক্তি কিংবা দেশের অধীনে পরিচালিতত হবে না। পৃথিবীর ১০টা দেশ যেমন মাথা উঁচু করে বিশ্বের বুকে দাঁড়ায়, বাংলাদেশও তার শির উঁচু করে দাঁড়াবে। বিদেশে আমাদের বন্ধু থাকবে। কিন্তু কোনো প্রভু আমরা মেনে নেব না। কেউ আমাদের প্রভুত্ব করতে আসলে জাতি তাকে সঠিক জবাব দেবে।এই প্রত্যাশা জনগণ কেন করছে তা অভিজ্ঞজনদের বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। কারণ বিগত ১৫টি বছর কার্যত দেশ চলেছে বড় প্রতিবেশি দেশটির অঙ্গুলি হেলনে।দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছিল।

প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সাথে সম্পাদিত সকল চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। এদেশের জনগণকে অন্ধকারে রেখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা তার একদলীয় শাসন টিকিয়ে রাখতে দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতের সাথে যে সকল দেশবিরোধী চুক্তি করেছে তা অবিলম্বে জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। দেশের জনগণ ভারতের সাথে সুসম্পর্ক চায় সমতা ও মর্যাদার ভিত্তিতে। দেশবাসী আশা করে, প্রতিবেশী হিসেবে ভারত এ দেশের জনগণের সাথে সম্পর্ক রাখবে; কোনো দল বা গোষ্ঠীর সাথে নয়। 

ফ্যাসিষ্ট সরকারের অন্যতম আবিষ্কার ছিল আয়নাঘর। আয়নাঘর থেকে খুব কম সৌভাগ্যবান মানুষ তাদের আপনজনের বুকে ফিরে এসেছেন। বেশিরভাগের কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের শেষ করে দেওয়া হয়েছে। বেঁচে থাকলে ফিরে আসতেন। কোথায় তাদের দাফন করা হলো পরিবারকে তাও জানতে দেওয়া হলো না।জনগণের প্রত্যাশা গুম,খুন,অপহরণ চিরতরে বন্দ হোক। বন্ধ হোক সমস্ত বিচারবহির্ভুত হত্যকান্ড।অপরাধি হলে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হোক। যারা আয়নাঘর প্রতিষ্ঠা করেছিল তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চায় জনগণ।

হত্যা, গুম, বিচারবহির্ভূত খুনের আন্তর্জাতিক তদন্ত নিশ্চিন্ত করতে হবে। শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনকে টিকিয়ে রাখতে বিরোধী মতের প্রায় সহস্রাধিক ব্যক্তিকে গুম করা হয়েছে বলে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ১০ হাজারের অধিক নিরপরাধ লোককে হত্যা করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে এ জাতীয় অপরাধসমূহের তদন্ত করে শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সেই সাথে কথিত আয়নাঘরের সাথে জড়িত পাপিষ্ঠদের চিহ্নিত করে কঠোরতম শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

বাজার সিন্ডিকেট তৈরি করেছিল হাসিনা সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের বড় বড় চেলাচামুন্ডারা।  ৫ আগস্ট দেশ স্বাধীন হয়েছে।  দুর্ভাগ্য এখনো সেই সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হয়নি।সেই সিন্ডিকেট এখনো জাতির ঘাড়ে বসে আছে। এই সিন্ডিকেট ভেঙে তছনছ করে দিতে হবে।কিন্তু এ পর্যন্ত সরকারের নেয়া অধিকাংশ পদক্ষেপ ব্যর্থ হয়েছে।জনগণ এই সরকারের ব্যর্থতা দেখতে চায়না।সরকারকে সফল হতেই হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সরকারকে ভূমিকা রাখতে হবে। চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেট ব্যবস্থা ভেঙ্গে দ্রব্যের দাম মানুষের হাতের নাগালে আনতে হবে।

 প্রশাসনিক কাঠামো সংস্কার ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহের স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। শেখ হাসিনার ১৬ বছরে দেশের প্রশাসন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে। দলবাজ কর্মকর্তারা রীতিমত আওয়ামী ক্যাডারে পরিণত হয়েছে। দলকানা আমলারা অফিসকে রাজনৈতিক কার্যালয়ের মতো ব্যবহার করেছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। দীর্ঘ ১৬ বছরের অপশাসনে অবৈধভাবে নিয়োগ ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত দলবাজ কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

ছাত্র-জনতার উপর ইতিহাসের বর্বরতম এ হত্যাকান্ড চালানোর অপরাধে ব্যক্তি হিসেবে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের পাশাপাশি ঢাল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সকল সংগঠনের রাজনীতি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে। এক্ষেত্রে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গণভোটের আয়োজন করে বাংলাদেশের মানুষের রায় নেয়া যেতে পারে। বাংলাদেশের মানুষের রায়েই নির্ধারিত হবে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দল বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে কিনা।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় ৫৭ জন দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তা হত্যার বিচার করতে হবে। দেশবাসী আজো সে নির্মম ও নৃশংস হত্যাকা-ের কথা ভুলতে পারে না। কোন অপরাধে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে ইতিহাসের ঘৃণ্যতম কায়দায় হত্যা করা হলো এবং কেনই বা তাদের জীবন রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো না জাতি তা জানতে চায়। অবিলম্বে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করে এ হত্যাকা-ের রহস্য উন্মোচন করে দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।

আগুন সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। দেশবাসী আশা করে, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে বাসে পেট্রোল বোমা মেরে আগুন দিয়ে যেভাবে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে এবং শত শত বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে তার আন্তর্জাতিক তদন্ত করতে হবে।

আট. আর্থিক খাতের লুটপাটকারী মাফিয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিগত ১৬ বছর অর্থনৈতিক খাতকে ধ্বংস করা হয়েছে। উন্নয়নের নামে লুটপাটের মহোৎসব চালানো হয়েছে। প্রায় ১৬টি ব্যাংকে ব্যাপক লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংক খাতকে কতিপয় ব্যক্তির মালিকানায় দিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। আর্থিক খাতকে ধ্বংস করার নায়কদের চিহ্নিত করার জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে হবে এবং দোষীদের আইনের আওতায় এনে কঠোরতম শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

 শিক্ষাব্যবস্থার আমূল সংস্কার করতে হবে। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষাব্যবস্থা। পরিকল্পিতভাবে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। বিশ্ব নেতৃত্বের উপযোগী হয়ে যেন আমাদের সন্তানেরা বেড়ে উঠতে না পারে, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এমন সব পাঠ্যপুস্তক রচনা করা হয়েছে। ধর্ম ও নৈতিক মূল্যবোধকে শিক্ষাব্যবস্থা থেকে চিরতরে বিদায় দেওয়া হয়েছে। সৃজনশীল কারিকুলামের নামে ছাত্রছাত্রীদের পড়ার টেবিল ও ক্লাস থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষাবিহীন এক অদ্ভূত ব্যবস্থা চালু করে জাতির মেরুদ- ভেঙে দেওয়ার সকল আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে এ কারিকুলাম বাতিল করে একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করতে হবে। বিশ্ব নেতৃত্বের উপযোগী এবং আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরি করার লক্ষ্যে ধর্ম ও নৈতিক মূল্যবোধের সমন্বয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ঢেলে সাজাতে হবে। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষার সর্বসস্তরে ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। বিগত ১৬ বছরে বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সকল শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাদের নিয়োগ পদ্ধতি, আবেদনের যোগ্যতা, পদোন্নতি প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি। শুধুমাত্র দলীয় বিবেচনায় ক্যাডারদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে বেশ অভিযোগ রয়েছে। অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ কমিশন গঠনপূর্বক এ বিষয়ে তদন্ত করে অযোগ্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা থেকে বাদ দিতে হবে এবং ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে। সরকারি কলেজসমূহে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় যোগ্যতাসম্পন্ন অভিজ্ঞ অধ্যাপক নিয়োগ দিতে হবে।

বিচার বিভাগকে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ মুক্ত করা ও আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ইতোমধ্যেই প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও আপিল বিভাগের ছয়জন বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। মূলত একটি জুডিশিয়াল ক্যুর ষড়যন্ত্র করে ছাত্র-জনতার বিপ্লব নস্যাৎ করতে চেয়েছিলেন তারা। ওবায়দুল হাসান ও আপিল বিভাগের সদ্য পদত্যাগকৃত বিচারপতিরা বিচারক পদকে কলঙ্কিত করেছেন। হাইকোর্টের দলীয় বিচারপতিরা সহসাই পদত্যাগ করবেন বলে জাতি আশা করে। সদ্য নিয়োগ পাওয়া প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে জাতি অভিনন্দন জানিয়েছে। বিচার বিভাগকে ধ্বংস করার ক্ষেত্রে যে দুজন বেশি ভূমিকা রেখেছে বলে দেশের মানুষ মনে করে, তারা হলো সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ও সাবেক আপিল বিভাগের বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। ফ্যাসিস্ট হাসিনার ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করার অশুভ চক্রান্তের সহযোগী হয়ে বিচারপতি খায়রুল হক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল বলে রায় দেন। এ ব্যবস্থা বাতিল করে মূলত খায়রুল হক বাংলাদেশকে এক গভীর সংকটে ফেলে দেন। দেশবাসী অবিলম্বে খায়রুল হক ও তার সহযোগী শামসুদ্দিন চৌধুরি মানিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চায়।

রাষ্ট্র সংস্কার একটি বড় কাজ। সেটা স্বল্প সময়ে সম্ভব নয়। তবে অনেক সময়ও নেয়া যাবেনা।নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ দ্বিতীয় স্বাধীনতা ছাত্র-জনতার ত্যাগের ফসল। জীবন দিয়ে হলেও এ দ্বিতীয় স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে আমাদের। বাংলাদেশে আর যেন কোনো ফ্যাসিস্ট ব্যক্তি বা সরকার ক্ষমতায় জেঁকে বসতে না পারে তার জন্য রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কার জরুরি। মহান আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন শুধু কোটা সংস্কার নয়, এ জাতিকে পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারের সুযোগ করে দিয়েছেন। দেশবাসী আশা করে, অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।

ছাত্র-জনতার আশা আকাঙ্খার আলোকে একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় আমদের আগামী প্রজন্ম বেড়ে উঠবে, এটাই একান্ত প্রত্যাশা। আমাদের বিশ্বাস, আমাদের তরুণরা পথ হারাবে না এবং একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা বৈষম্যহীন সমাজ আমরা দেখতে পাবো অচিরেই। জনগণ সেই আশায় বুক বেধে আছে।

 


শহীদুল ইসলাম

মন্তব্য করুন