ছবি: ইন্টার নেট
স্পেন কি সাফল্যের আরো একটি বৃত্তে পা রাখতে যাচ্ছে? যেমনটা রেখেছিল তারা ২০০৮ সালে। এমন এক ইউরো দিয়েই তাদের উত্থান, শেষ হয়েছিল বিশ্বকাপ এবং আরেকটি ইউরো জয় দিয়ে। এবারের স্পেন দলে প্রতিভা আর অভিজ্ঞতার এমন ভারসাম্য যে স্প্যানিশরা সেই স্বপ্ন তো দেখতেই পারেন।
যদিও স্পেনের সেই দল ছিল লুই আরাগোনেস ও ভিসেন্তে দেল বস্কের মতো দুই হেভিওয়েট কোচের অধীনে।
সেই তুলনায় লুই দে লা ফুয়েন্তেকে স্পেনের দায়িত্ব নেওয়ার আগে কেই-বা চিনত। লা লিগায় কখনো কাজ করেননি। সিনিয়র দলের কোচ হিসেবে একমাত্র অভিজ্ঞতা ছিল আলাভেসের হয়ে দ্বিতীয় বিভাগে। মূলত একাডেমির কোচ ছিলেন ফুয়েন্তে।
সেই সূত্রেই স্পেনের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রথম দায়িত্ব পান। ২০১৫ সালে রদ্রি, মিকেল মেরিনোকে পেয়েছিলেন সেখানেই। ২০১৯ অনূর্ধ্ব-২১ ইউরো জেতেন আবার দানি ওলমো, উনাই সিমন, ফাবিয়ান রুইসদের সঙ্গে নিয়ে। সর্বশেষ টোকিও অলিম্পিকে পেদ্রি আর কুকুরেয়াকেও পেয়েছেন।
স্পেন মূল দলটা নামে ভারী হলেও দে লা ফুয়েন্তের সেই ভার নিতে কোনো সমস্যাই হয়নি লুই এনরিকে দায়িত্ব ছাড়ার পর। আর গত ইউরোতে এনরিকে যা পারেননি, সেটিই করে দেখিয়েছেন বস্ক অঞ্চলের ৬৩ বছর বয়সী এই কোচ, ২০১২-এর পর স্প্যানিশদের তুলে নিয়ে এসেছেন আবার ইউরোর ফাইনালে।
স্পেনের ফাইনাল ভাগ্য বরাবরই ভালো। এই শতকে, ২০০৮ থেকে ২০১২ সময়কালে খেলা ফাইনালের তিনটিই জিতেছে স্পেন। বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট পাঁচটি ফাইনাল খেলেছে স্পেন, জিতেছে তার চারটিতেই।
এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাদেরই ফেভারিট মানা হচ্ছে। জার্মানি ও ফ্রান্সের মতো দুই হট ফেভারিটকে নক আউট করে যে তারা এই শিরোপা লড়াইয়ের টিকিট জিতেছে। লামিন ইয়ামাল, ওলমো, নিকো উইলিয়ামসদের ফর্মও বলছে তারা যেকোনো ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। পথ দেখাতে দে লা ফুয়েন্তে তো আছেনই।
স্পোর্টস ডেস্ক:
মন্তব্য করুন