বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনার কোনো ক্ষমা নেই। তিনি এ জাতিকে ধ্বংস করেছেন। সুতরাং জবাব তাকে দিতেই হবে। তিনি যে অপরাধ করেছেন তাকে বলা হয় মানবতাবিরোধী অপরাধ। মানবতাবিরোধী অপরাধে তার বিচার হবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলা বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম পাকিস্তানের সঙ্গে। ২০২৪ সালে যুদ্ধ করতে হলো দেশের একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। ছাত্র আন্দোলনে ঠাকুরগাঁওয়ের চারজন শহীদ ও হাজারো মানুষ আহত হয়েছেন। স্বৈরাচার হাসিনা ২০১২ সাল থেকে আমাদের ওপর নির্যাতন করেছে। ৭০০’র বেশি মানুষকে গুম করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে নিঃস্ব করা হয়েছে। তাদের আমলে ঠাকুরগাঁওয়ে ৯ জনকে হত্যা করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা ১৬ বছর ধরে মার খেয়ে, জেলে গিয়ে অনেক অন্যায় জুলুমের শিকার হয়েছি। অনেক ত্যাগ স্বীকার করছি শুধু এ ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা সবাই অনেক আশাবাদী, অন্তর্বর্তী সরকার জঞ্জাল দূর করে দেশের এমন একটি পরিবেশ তৈরি করবে, যে পরিবেশে সুস্থ উপায়ে ও সবার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেবে। সে নির্বাচনে জনগণের একটি পার্লামেন্ট তৈরি হবে।

বিএনপিও সংস্কার চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ৩১ দফা দিয়েছি দুই বছর আগে। বারবার বিষয়গুলো নিয়ে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটা আমরা সরকারে না গেলে মেন্টেইন করতে পারবো না।

ফখরুল বলেন, সব দিক চিন্তা করে সামনে যেন সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার ও পার্লামেন্ট হয়। আর যেন মানুষের প্রতি অন্যায় অত্যাচার না হয়। ছোট ছোট শিশুদের গুলি করে হত্যা করা না হয় শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও আহতদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।