• , |
  • ঢাকা, বাংলাদেশ ।
সর্বশেষ নিউজ
* ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৩৯ * সরকার কি চাইলে এখন রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দিতে পারে? * রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনের রাস্তা অবরোধ * পদত্যাগ করতে রাষ্ট্রপতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম * ১০১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শেষ করল বাংলাদেশ * জামায়াত আমিরের সাথে জাতিসঙ্ঘের আবাসিক সমন্বয়কের সাক্ষাৎ * পুলিশের ২৫২ এসআইকে অব্যাহতিতে রাজনৈতিক কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * মাহফুজ আনামের কাছে প্রশ্ন: হাসিনা-মুজিবের দুঃশাসনের পার্থক্য কোথায়? * ইরানকে গোপন তথ্য দেয়ায় ৭ ইসরাইলি আটক * নিরাপত্তার স্বার্থে এখনই শীর্ষ নেতার নাম ঘোষণা করছে না হামাস

সিন্ডিকেট কালোবাজারি না অব্যবস্থাপনা

news-details

প্রতীকী ছবি


সম্প্রতিককালে নিত্যপণ্যের বাজারে যেন আগুন। সাধারণ ক্রেতাদের জন্য অসহনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের কাছে নিত্যদিনের বাজার খরচ চালানোটা ভীষণ কষ্টের। বাজারে কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রতিদিন খাদ্য পণ্যের দাম বাড়ছে। চাল, আটা, তৈল, মাছ, ডিমের দাম অধরা। কিছুদিন ধরে বাজারে ডিমের দেখা মিলছে না। বাস্তবক্ষেত্রে প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা না সিন্ডিকেটের কালোবাজারি, তা বোঝা দায়।

সাধারণ মানুষের আলাপচারিতায় জানা গেছে বাজারে ফের অসাধারণ মাথার চাড়া দিয়ে উঠেছেন। ভোক্তার পকেট কাটতে তারা পুরোনো মোড়কে নতুন করে কারসাজি করছেন। এতে প্রতি সপ্তাহে কোন না কোন পণ্যের দাম ইচ্ছামতো বাড়িয়ে দিচ্ছে। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও পাইকারিতে ইচ্ছামতো মূল্য নির্ধারণে খুচরা পর্যায়ে ভোজ্য তেলের দাম লিটারে দশ টাকা বেড়েছে। ডিমের বাজারে রীতিমতো নৈরাজ্য। ফার্ম থেকে পিস প্রতি ১১ টাকা ক্রয় করে পাইকারি আড়তে ১৫ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। এ পর্যায়ে ভোন্ডা পর্যায় ১৬ থেকে ১৮ টাকা বিক্রির নেওয়াজ তৈরি করেছে সিন্ডিকেট সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তাদের কারসাজিতে ২০ দিনে ভোক্তার পকেট থেকে ২৮০ কোটি টাকা লুটে নেয়া হয়েছে।

আড়তদাররা বলেছেন বাজার ব্যবস্থাপনা বিশৃংখলার জন্যই মূলত এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আর বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পাইকারিতে সিন্ডিকেটের কারণে খুচরা পর্যায়ে চরম খেসারত দিতে হচ্ছে ভোট তাদের। দেখা গেছে খুচরা বাজারে সপ্তাহের বাবধানে কেজি প্রতি পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতা সাধারণের ২০ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। চাল নিয়ে করা হচ্ছে চালবাজি। সবজি থেকে শুরু করে আদা, রসুন, চিনির দাম বাড়িয়ে ভোক্তাদের জিম্মি করা হচ্ছে। আর কাঁচামরিচের দাম তো আকাশ ছোঁয়া। দেশের কোথাও নাকি ৫/৬শ টাকাও কেজি বিক্রি হয়েছে। তবে সামান্য কমলেও ৩০০ থেকে ৫০০ এর মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

সর্বোপরি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এ সময়ে তেমন প্রশাসনিক তদারকি নেয়া হচ্ছে না বলে জানা গেছে। পণ্যমূল্য কামানোর জন্য এবং নাগালের মধ্যে আনতে সরকার ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অতি পরিতাপের বিষয়ে হলো যে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানার বিষয়ে দৃশ্যমান সফলতা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। কারণ বাজারে ফের অসাধুরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।

সম্প্রতি জাতীয় দৈনিকের এক শিরোনামে বলা হয়েছে যে 'ভোক্তার পকেট কাটতে অসাধু চক্রটি পুরনো মোড়কে নতুন করে কারসাজি সাথে করছেন। যার ফলে প্রতিদিন কোন না কোন পণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া বাড়তেই আছে। বাস্তব ক্ষেত্রে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে পাইকারিতে ইচ্ছে মত মূল্য নির্ধারণ করেছে অসাধারণ ব্যবসায়ীরা।

নিত্যপণ্যের মধ্যে ডিম গোশত অসহনীয়। সাথে চালের দাম বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণ। এছাড়া সবজি ও শুকনা মরিচ কাঁচামরিচের স্বাস্থ্য বলাবাহুল্য। প্রকৃতপক্ষে বাজার ব্যবস্থাপনায় বিশৃংখলার জন্যই মূলত এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দেশের বিজ্ঞজনদের ধারণা দেন গণঅভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে প্রতিষ্ঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। কিন্তু আশার স্থলে সে পরিবর্তনটা খুব একটা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

বস্তুত দীর্ঘ ১৫ বছর একধারায় চলছে। আর সেসব গডফাদার ও সিন্ডিকেটরা রং বদল করে এখনো বাজারের লাগাম ধরে বসে আছে। তাদের চেহারা ও রং বদল হলেও কর্মকর্তা আগের মতই অব্যাহত আছে। আগে এক বিশেষ দলের ছিল এখন বেনার পরিবর্তন করে অন্য রঙের রাশি ব্যবহার করছে। প্রশাসন উদ্যোগ নিলেও অসাধু পাইকাররা একদম অধরা। তাদের রাস্তা ও চেয়ারের পরিবর্তন হয়নি। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে চৌকস ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরি। অন্যদিকে শত অন্যায়ের থাকলেও পুলিশ প্রশাসন একদম নিরব, ঠুঠো জগন্নাথ হয়ে বসে আছে। সাধারণ মানুষ এখন নির্বিকার। দেশ ও জাতির কল্যাণে সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করার জন্য প্রশাসনের স্ব স্ব জায়গা থেকে যথার্থ ব্যবস্থা নেওয়া সময়ের অনিবার্য দাবি।


অধ্যক্ষ আবুল কালাম আযাদ

মন্তব্য করুন