• , |
  • ঢাকা, বাংলাদেশ ।
সর্বশেষ নিউজ
* সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের ৩৪৩ অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা জব্দ * দায়িত্ব নিয়েছেন নবনিযুক্ত ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী * শেখ হাসিনার পক্ষে লড়বেন জেড আই খান পান্না * আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন বাহারুল আলম * সাবেক এমপি শাহজাহান ওমর থানা হেফাজতে * জামিন পেয়েছেন শফিক রেহমান * ইবিতে র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন * হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প * রাশিয়ায় এবার যুক্তরাজ্যের তৈরি ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা * জাতি হিসেবে আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য: ড.ইউনূস

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে উদ্যোগ দরকার

news-details

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে উদ্যোগ দরকার


দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাম্প্রতিক দরপতনে বিনিয়োগকারীরা নতুন করে শঙ্কায় পড়েছেন। পুঁজি হারানোর ভয় আস্থাহীনতায় ভুগছেন তারা। গত ২৭ অক্টোবর শেয়ার বাজারে দরপতনটি ছিল বিগত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড। গত রোববার সপ্তাহের শুরুতে দরপতন হয়ে সূচক সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে আসে।  বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের বড় ধরনের মূল্য পতনের কারণে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ডিএসইএক্স ৫ হাজার পয়েন্টের মাইলফলকের নিচে নেমেছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মতিঝিলের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন একদল বিনিয়োগকারী। বিশ্লেষকেরা বলছেন, আস্থাহীনতার কারণে শেয়ারবাজারে ‘অযৌক্তিক’ দরপতন ঘটছে।

বিএসইসি বিনিয়োগকারীদের পুঁজির নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা। তারা বলেন, সরকার এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘পতন ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ না নেয়নি। 

গত ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ডিএসইতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন হলেও ২৩ অক্টোর থেকে দরপতন হতে থাকে। এতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা অনিশ্চয়তায় পড়তে থাকেন। এমন অবস্থা চলতে থাকে বেশ কয়েকদিন। এক পর্যায়ে ২৭ অক্টোবর আন্দোলনে নামেন কিছু বিনিয়োগকারী। দাবি জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যানের পদত্যাগের। 

ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের পর সংস্কার কার্যক্রম গতিশীল হয়েছে, যা খাতের স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য। সরকার টেকসই ব্যবসা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে, যা শেষ পর্যন্ত বাজার পুনরুদ্ধারের দিকে নিয়ে যাবে।’

বিশ্বব্যাংকের সাবেক জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. এম মাসরুর রিয়াজ গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বাজারের সাম্প্রতিক কার্যক্রমও মানসম্পন্ন শেয়ারের ঘাটতিরই প্রতিফলন।

'শক্তিশালী শেয়ারের অভাব এবং অর্থ ও আর্থিক বাজারের মতো খাতগুলোতে অস্থিতিশীলতা বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট করেছে।’

ডিএসই এই অর্থনৈতিক ও নীতিগত প্রতিকূলতা অব্যাহত রাখায় অংশীজনরা আশাবাদী। টেকসই নীতি সংস্কার এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রচেষ্টা বাজারের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে।

গত মাসের শেষ দিনগুলোতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। ৩১ অক্টোবরের লেন দেনের সূচকে দেখা যায় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার লেনদেনে ২১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে আর কমেছে মাত্র ৩৪টি কোম্পানির। যা ইতিবাচকতার ইঙ্গিত। 

আজ রোববার (৩ নভেম্বর) শেয়ার বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে প্রথম দেড় ঘণ্টার লেনদেনে। ডিএসইর ট্রেডিং রেকর্ডে দেখা যায় ৮.৭৩ কোটি শেয়ার ও ইউনিট বিনিময়ের মাধ্যমে ৬৮ হাজার ৩২০টি লেনদেন হয়। এই সময়ে প্রথম দেড় ঘণ্টার মধ্যে ১৯২ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়। আর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪২.১২ পয়েন্ট বেড়েছে। আর ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ১১.৬৩ পয়েন্ট বেড়েছে।

শেয়ার বাজারে বিভিন্ন সময় সিন্ডিকেট দানাবেঁধে লুট করার ঘটনা আছে। দেশের অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করে থাকে অসাধু চক্র। চলতি বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর আইসিবিতে সংস্কার করা হয়েছে। আর্থিক সকল প্রতিষ্ঠান ও নিয়ন্ত্রক সংস্থায় সংস্কার করার কথা বলে আসছে সরকার। তবে কতটুকু সংস্কার হলো তার ফলাফল হয়তো পাওয়া যাবে। আরও কিছুদিন যাবার পর। তবে আর্থিক খাতে বিনিয়োগকারী, অংশীজনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। যাতে কোনো নতুন দরবেশ ও দখলদারের পুনরুত্থান না হয়। নিঃস্ব না হয় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। 


এম এ জিসান

মন্তব্য করুন