ছবি: সংগৃহীত।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চির প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজিত হয়েছেন ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। আশা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত ফল ঘরে তুলতে পারলেন না কমলা হ্যারিস।
ভোট শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগেও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের দাপুটে ‘পোলস্টার’দের অধিকাংশই এগিয়ে রেখেছিলেন কমলা হ্যারিসকে। সেই সঙ্গে ছিল ‘ফোটো ফিনিশে’ জয়-পরাজয় নির্ধারণের পূর্বাভাস। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে পুরো গণনা শেষ হওয়ার আগেই রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের জন্য হোয়াইট হাউসে প্রবেশের টিকিট পেয়ে গেলেন। সেই সঙ্গে ডোমোক্র্যাটদের পেছনে ফেলে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট এবং নিম্নকক্ষ ‘হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায় তার দল।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে যেখানে ন্যূনতম ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোটের দরকার, সেখানে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৯৫টিতে জয় পেয়েছেন ট্রাম্প। বিপরীতে কমলার ঝুড়িতে গেছে ২২৬টি। ভোটের মাঠে এমন পরাজয়ে হতাশ ডেমোক্র্যাট শিবির। কমলা হ্যারিসের হার নিয়ে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনের পর ২০২৪-এ কমলা হ্যারিসেরও একই ভাগ্য বরণ করতে হলো। আট বছরের ব্যবধানে দুই বার আধুনিক বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্রের দেশ যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথ আটকে দেন ট্রাম্প। বিশ্বের সব জরিপ ভুল প্রমাণ করে বাজিমাত করেন ৭৮ বছর বয়সী এই বিতর্কিত নেতা।
নির্বাচনী বিশ্লেষণমূলক আলোচনায় প্রথমেই যে বিষয় সামনে আসছে, তা হলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো আগে থেকেই নির্বাচনী প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পাননি কমলা হ্যারিস। কেননা এবার ডেমোক্রেটিক পার্টির পূর্বনির্ধারিত প্রার্থী ছিলেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু ভোটকে সামনে রেখে গত জুনে প্রথম টেলিভিশন বিতর্কে ট্রাম্পের কাছে ধরাশায়ী হন বাইডেন। ট্রাম্পের চাতুর্যপূর্ণ কথার জবাব দিতে গিয়েই মাঝেমধ্যে হোঁচট খাচ্ছিলেন তিনি। ওই বিতর্কের পর বাইডেনের বয়স ও রাষ্ট্রের শীর্ষ পরিচালনায় তার সক্ষমতা নিয়ে দলের ভেতর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এ নিয়ে বিতর্কের মুখে একপর্যায়ে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন বাইডেন। ফলে স্বল্প সময়ের নোটিশে দীর্ঘ প্রস্তুতি নেওয়া ট্রাম্পকে হারানোর লড়াইয়ে নামতে হয় কমলা হ্যারিসকে।
কমলা হ্যারিসের একজন সহযোগী সংবাদমাধ্যম পলিটিকোকে বলেন, প্রথম দিকে দলের পক্ষ থেকে জো বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করতে ব্যাপক প্রচার চালানো হয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে প্রার্থিতা পরিবর্তন দলকে এমন বিপর্যয়কর ফলাফলের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
ভোটের মাঠে নেমেই পুরোদমে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েন ডেমোক্রেটিক পার্টির নতুন প্রার্থী। বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী সমাবেশ ও নারীদের জমায়েতের পাশাপাশি বিনোদনজগতের তারকাদেরও নিজের পক্ষে মাঠে হাজির করেছেন তিনি। ছুটে গেছেন দাতাদের কাছে। কিন্তু দৃশ্যত তার সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মেয়াদে বিশেষ করে দেশের অর্থনীতি, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন, ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ে মার্কিন ভোটারদের অস্বস্তি ছিল স্পষ্ট। বাইডেন প্রশাসনের অংশ হওয়ায় এসব ইস্যুতে সরকারের ব্যর্থতার দায় তাঁর কাঁধেও বর্তায়। এ বিষয়গুলো থেকে নিজেকে সেভাবে আলাদা করতে পারেননি কমলা হ্যারিস। ফলে এসব ইস্যুতে যাঁরা বাইডেনের নীতির বিরুদ্ধে ছিলেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী তাঁদের কাছে টানতে ব্যর্থ হয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী। দলের কিছু নেতা এরই মধ্যে পুরো ফলাফল নিয়ে ব্যাপক অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনার দাবি তুলেছেন।
পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হয়, বাইডেন প্রশাসনের যেসব বিষয়ে ভোটারদের মধ্যে অস্বস্তি ছিল, সামগ্রিকভাবে সেগুলো কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে ভোটারদের আশ্বস্ত করতে পর্যাপ্ত সুযোগ পায়নি কমলা হ্যারিসের প্রচার শিবির। ট্রাম্প শিবির যেখানে বছরের পর বছর ধরে প্রস্তুতি নিয়েছে, ইলন মাস্কের মতো ধনকুবেরকে সঙ্গে নিয়ে ভোটের মাঠে প্রচার চালিয়েছে; সেখানে নির্বাচনী প্রচারে কমলা হ্যারিস সময় পেয়েছেন ১০০ দিনের চেয়ে কিছু বেশি। ফলে এত কম সময়ের মধ্যে নানা ইস্যুতে ভোটারদের উদ্বেগ দূর করা তাঁর জন্য খুব সহজ ছিল না। আর এই সুযোগই কাজে লাগিয়েছেন ট্রাম্প। দফায় দফায় ডেমোক্র্যাট সরকারের আমলে দেশের অর্থনীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সামনে তুলে ধরেছেন গাজা ও ইউক্রেন যুদ্ধের মতো ইস্যুগুলো। অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়ে কঠোর হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নানা ইস্যুতে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
নির্বাচনী প্রচারে বিশেষ করে দেশের অর্থনীতি, কর ও অভিবাসন ইস্যুগুলোকে সামনে নিয়ে এসেছেন ট্রাম্প। ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ভোটে জিতলে তিনি ‘মূল্যস্ফীতির অবসান ঘটিয়ে আমেরিকাকে আবার সাশ্রয়ী করে তুলবেন’। এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি উৎপাদন আরও সম্প্রসারিত করবেন। একই সঙ্গে জ্বালানি খরচ যেন কম আসে, সে জন্য আর্কটিক মরুভূমির মতো এলাকাগুলোয় নতুন তেলকূপ খনন করার উদ্যোগ নেবেন। বেশ কিছু ক্ষেত্রে নাগরিকদের জন্য কর কমানোর কথাও বলেছেন ট্রাম্প। এ ছাড়া উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি আমদানি পণ্যের ওপর শুল্কহার বাড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন তিনি। দৃশ্যত ট্রাম্পের এসব অঙ্গীকারের বিপরীতে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা।
যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনে মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি অভিবাসন সমস্যা নিয়ে প্রচার বড়সড় প্রভাব ফেলেছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন। বিশেষত, ‘রাস্ট বেল্ট’ হিসেবে পরিচিত প্রদেশগুলোতে ট্রাম্পের জয় প্রমাণ করছে ডেমোক্র্যাটদের চিরাচরিত শ্রমিক-কর্মচারী ভোটব্যাংকে ফাটল ধরাতে পেরেছেন ট্রাম্প। প্রচারের তিনি বার বার বলেছেন, ভোটে জিতলে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবেন। সুরক্ষিত করবেন কলকারখানা, দফতরের কর্মীশ্রেণির আমেরিকানদের আর্থিক নিরাপত্তা। ফল বলছে, সেই প্রচার প্রভাব ফেলেছে ভোটে।
ভোটের আগে প্রকাশিত একটি জনমত সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে অভিবাসনের বিষয়টিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া ভোটারদের সংখ্যা ৪.৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৪.৬ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। ১৫ বছরে এই সংখ্যা সব থেকে বেশি বেড়েছে ’২১ থেকে ’২৪-এর মধ্যে বাইডেনের জমনায়— প্রায় ৫.৪ শতাংশ। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে চার কোটি ৭৮ লাখ অভিবাসী বসবাস করেন। যুক্তরাষ্ট্রের শ্বেতাঙ্গ এমনকি, কৃষ্ণাঙ্গ শ্রমিক-কর্মচারীদের অনেকে মনে করেছেন তাদের রোজগারের নিশ্চয়তায় আঘাত হানছেন অভিবাসীরা। কমলা অভিবাসন নিয়ে কড়া অবস্থান ঘোষণা না করায় ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকেছেন তারা।
২০১৬ সালে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে প্রাচীর তোলা, বহু অনুপ্রবেশকারীকে ফেরত পাঠানো, সীমান্তে পরিবারগুলোকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া, বাচ্চাদের পরিবারের থেকে আলাদা করা— এমন নানা মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল।
২০২০ সালে যখন বাইডেন প্রেসিডেন্ট হয়ে আসেন, তার নীতি হয় সীমান্তে আসা শরণার্থীদের সঙ্গে মানবিকতা বজায় রেখে নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা করা। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে যেখানে মেক্সিকো সীমান্তে শরণার্থীর সংখ্যা ছিল ৭৪ হাজার, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে তিন লক্ষে পৌঁছায় তা। সীমান্ত শহরগুলোতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সেই পরিস্থিতিতে টেক্সাস, ফ্লোরিডার মতো প্রদেশগুলোর গভর্নররা বাসভর্তি করে বহু অবৈধ অভিবাসীকে নিউইয়র্ক, শিকাগো, লস অ্যাঞ্জেলসের মতো এলাকায় পাঠিয়েছিলেন। সে সময় প্রকাশিত একটি জনমত সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ শতাংশ ভোটার জোরালোভাবে মনে করেন যে, কোনও পরিচয়পত্রহীন শরণার্থীদের সংখ্যা কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। ট্রাম্পের জয় প্রমাণ করল সেই সমীক্ষায় ভুল ছিল না।
সেপ্টেম্বরের গোড়ায় পেনসিলভেনিয়া প্রদেশের রাজধানী ফিলাডেলফিয়ায় আয়োজিত মুখোমুখি বিতর্কে (প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট) ট্রাম্প জানিয়েছিলেন নির্বাচিত হয়ে পশ্চিম এশিয়ায় অশান্তি ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন তিনি। সেই সঙ্গে তার তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য ছিল- ‘আমি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দেব।’
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে ভলাদিমির জেলেনস্কির বাহিনীকে ধারাবাহিকভাবে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে বাইডেন সরকার। অন্যদিকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলে হামলা চালানোর পর গাজায় শুরু হয়েছে ইসরাইলি হামলা। এরপর লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ইরানের সঙ্গে ইসরাইলের সংঘাত সৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে তিন দফায় উপসাগরীয় অঞ্চলে বাড়তি সেনা পাঠাতে হয়েছে পেন্টাগনকে। তার অভিঘাত এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের করদাতাদের পকেটে।
এই পরিস্থিতিতে একাংশ বিশ্বাস করেছেন, স্বভাবে বেপরোয়া ট্রাম্প ইসরাইল এবং ইউক্রেন পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের পুরনো সমীকরণও মাথায় রেখেছেন ভোটদাতাদের অনেকে। ভরসা করেছেন তার ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেন’ স্লোগানে। পাশাপাশি কথিত ইসলামিক মৌলবাদে ভিত জনতার একাংশ ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্যে নীরবে সমর্থন জুগিয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, বাইডেন সরকারের ইসরাইল নীতিতে ক্ষুব্ধ আরবীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকানদের একটি অংশ এ বার ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন। যারা চিরাচরিতভাবে ডেমোক্র্যাট সমর্থক বলেই পরিচিত।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের ‘গর্ভপাতের অধিকার বিরোধী অবস্থান’ নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। সেবার বাইডেনের কাছে হেরে গিয়েছিলেন তিনি। এ বারের ভোটপ্রচারে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। উদ্দেশ্য ছিল নারীবাদীদের নিশানা এড়ানো। ভোটের ফল বলছে এই কৌশল সফল হয়েছে। অন্যদিকে, চার বছর আগেকার ক্যাপিটল হিংসা নিয়ে তার বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাট শিবির প্রচার চালালেও তা জনমনে প্রভাব ফেলতে পারেনি। ফল মেলেনি, ‘ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট’ প্রচারেও।
বাইডেন প্রশাসনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস নিজেকে বাইডেনের চিন্তাভাবনা থেকে আলাদা প্রমাণ করতে হিমশিম খেয়েছেন। বাইডেনের জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার প্রভাবও তার ওপর পড়েছে।
গত ৮ অক্টোবর এবিসির চ্যাট শো ‘দ্য ভিউ’-তে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েছিলেন। কমলার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি বাইডেনের থেকে আলাদা কী করবেন। কিছুক্ষণ ইতস্তত করে কমলা বলেছিলেন, ‘মনে আসার মতো কিছুই নেই।’
গত বুধবার সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাবেক উপদেষ্টা ডেভিড অ্যাক্সেলরড বলেন, ডেমোক্রেটিক প্রার্থীর জন্য এ বিষয়টা ‘বিপর্যয়কর’ হয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প মোটেও সুযোগ হাতছাড়া করেননি। বিভিন্ন নির্বাচনী সমাবেশে ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের সাক্ষাৎকারের ক্লিপটি বাজিয়েছেন। টেলিভিশনে প্রচারিত অনেক নির্বাচনী বিজ্ঞাপনেও বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মন্তব্য করুন