ছবি- সংগৃহীত
চলমান বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের হত্যা ও কর্তব্যরত সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজ) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশ।
সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, সরকার রক্তের নেশায় উন্মত্ত হয়ে গেছে। ১৭ জুলাই সাতজন ছাত্র হত্যার পর আজ (বৃহস্পতিবার) আবার তিনজন ছাত্রকে হত্যা করেছে। আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথকে ছুঁড়ে ফেলে রক্তই বেছে নিলো সরকার, যা ফ্যাসিবাদের চরম বহিঃপ্রকাশ উল্লেখ করে তারা বলেন, বাংলাদেশ মনুষ্য বসবাসে অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।সমাবেশ থেকে অভিভাবকদের রাজপথে নেমে আসার আহবান জানিয়ে সাংবাদিক নেতারা বলেন, এভাবে পাখির মতো আমাদের সন্তানদের গুলি করে মারবে আর অভিভাবকরা চুপ করে থাকবো এটা হতে পারে না।
বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে এ বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন, বিএফইউজের মহাসচিব ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ডিইউজের সাধারন সম্পাদক খুরশীদ আলম, বিএফইউজের সহ সভাপতি এ কে এম মহসিন, সিনিয়র সহকারি মহাসচিব বাছির জামিল,ডিইউজের সহ সভাপতি রফিক মোহাম্মদ৷ ক্রাবের সাবেক সহ সভাপতি আবু সালেহ আকন, ডিইউজের যুগ্ম সম্পাদক দিদারুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খান, দফতর সম্পাদক ইকবাল মজুমদার তৌহিদ, নির্বাহী সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, তালুকদার রুমি, সাবেক দফতর সম্পাদক ডি এম আমিরুল ইসলাম অমর, মফস্বল সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সাখওয়াত ইবনে মঈন, ডিইউজের সাবেক নির্বাহী সদস্য এইচ এম আল আমিন প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন দুটো। বিক্ষোভ মিছিলটি প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে হাইকোর্ট, তোপখানা রোড, পুরানা পল্টন মোড় ঘুরে আবার প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের দাবিকে অত্যন্ত যৌক্তিক উল্লেখ করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের দাবিকে অত্যন্ত যৌক্তিক বলে মনে করি। আমরা মনেকরি, 'কোটা কখনো, মেধার বিকল্প হতে পারে না'। এ কোটার কারণে প্রতিভাবান অনেক চাকরিপ্রার্থী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন।
কোটা ব্যবস্থার বিলোপ হলে, সকল প্রার্থীর মধ্যে যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এতে করে মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থীরা তাদের প্রকৃত প্রতিভার স্বীকৃতি পাবেন এবং যোগ্য প্রার্থীদের মাধ্যমে সরকারি খাতে দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব বৃদ্ধি পাবে।
এনএনবিডি ডেস্ক:
মন্তব্য করুন