ছবি-সংগৃহীত
যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে আসনসংখ্যায় লেবার পার্টি এবার টনি ব্লেয়ারের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ী হয়ে রেকর্ড গড়েছে। দেশটিতে গত ৪ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনে হাউস অব কমন্সের ৬৫০ আসনের মধ্যে লেবার পার্টি পেয়েছে ৪১২টি, যা ভোটের অংকে ৩৪ শতাংশ। অপরদিকে বিদায়ী ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ১২১টি আসন, যা ভোটের অংকে ২৪ শতাংশ।
পাশাপাশি অস্বাভাবিকভাবে বিপুল সংখ্যক ভোট ছোট দলগুলোর বাক্সে পড়েছে। এর মধ্যে লিবারেল ডেমোক্র্যাটস, রিফর্ম ইউকে (REFUK - UKIP-এর উত্তরসূরি দল), গ্রিনস এবং বেশ কয়েকটি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা -গাজা প্ল্যাটফর্ম। এর মধ্যে শুধুমাত্র মধ্যপন্থী লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা ৭২টি আসন পেয়ে তৃতীয় হয়েছে । যাইহোক, ইউরোপ জুড়ে উগ্র ডানপন্থী দলগুলির উত্থানের প্রেক্ষাপটে, এটি উল্লেখযোগ্য যে রিফর্ম ইউকে (REFUK) ১৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে (যদিও মাত্র ৫টি আসন)। স্কটল্যান্ড ভিত্তিক দল এসএনপি নয়টি আসনে পেয়েছে।
যুক্তরাজ্যের আক্ষরিক অর্থেই ইতিহাস গড়া নির্বাচনে লেবার পার্টির পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছেন কিয়ার স্টারমার। এই নির্বাচনে নতুন ইতিহাস তৈরি হয়েছে এ কারণে যে দেশটিতে সর্বাধিক সময় সরকার পরিচালনা করা দল, কনজারভেটিভ পার্টি প্রায় এক শ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। তবে নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ বেশ কিছুটা কম হওয়ায় বিজয়েও লেবার পার্টির প্রাপ্ত ভোটের হার স্বস্তিদায়ক হয়নি।
কনজারভেটিভ পার্টি একসঙ্গে ২৫১টি আসন হারানোর রেকর্ড আর কোনো দলের নেই। তারা শুধু লেবারের কাছে আসন হারিয়েছে তা নয়; বরং তাদের এককালের মিত্র লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের কাছে আসন হারিয়েছে ৬০টির বেশি। তারা আরও আসন হারিয়েছে ডানপন্থী রাজনীতিতে তাদের জন্য মাথাব্যাথার কারণ হয়ে ওঠা রিফর্ম পার্টির কাছে, যারা প্রথমবারের মতো ৫টি আসনে জয়ী হয়েছে।
গত ৪ জুলাইয়ের নির্বাচনে একদিকে লেবারের এই ভূমিধস বিজয়কে যেমন স্টারমারের নেতৃত্বের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে জনগণের উচ্ছ্বসিত সমর্থন বলা যাচ্ছে না, যেটি জনতুষ্টিবাদী নেতা বরিস জনসনের বেলায় ঘটেছিল। অন্যদিকে এই ম্যান্ডেট তার দলের কর্মসূচির প্রতি ভোটারদের উদ্দীপ্ত আস্থার বহিঃপ্রকাশও নয়। বরং ১৪ বছর ধরে কনজারভেটিভ পার্টির একের পর এক পাঁচজন প্রধানমন্ত্রীর আমলে চাপিয়ে দেওয়া কৃচ্ছ্র, দুর্দশাগ্রস্ত অর্থনীতি, জেঁকে বসা বৈষম্য এবং হতাশা থেকে মুক্তিলাভের আকুতির প্রতিফলন এটি।
বিবিসির রাজনৈতিক সম্পাদক ক্রিস ম্যাসনের বর্ণনায় এটি হচ্ছে, ‘কনজারভেটিভ পার্টিকে ভোটাররা নিষ্ঠুরভাবে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করায় সৃষ্ট স্টারমার সুনামি। আর স্কাই টিভির স্যাম কোটস বলেছেন, এ হচ্ছে ‘ভালোবাসাহীন ভূমিধস বিজয়’।
আসনসংখ্যায় লেবার পার্টি এবার টনি ব্লেয়ারের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ী হলেও দলটির সাফল্যের কিছুটা ঔজ্জ্বল্য কমেছে তিনটি কারণে—জাতীয়ভাবে তাদের মোট প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা টরন ব্লেয়ার ও জেরেমি করবিনের নেতৃত্বে নির্বাচনগুলোয় পাওয়া ভোটের চেয়ে কম। দ্বিতীয়ত, লেবার পার্টি সব সময় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট পেয়ে এলেও এবার সংখ্যালঘু ভোট, বিশেষ করে যেসব আসনে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মুসলিম ভোট আছে, সেসব আসনে তাদের ভোট এতটাই কমেছে যে যারা জিতেছেন, তাদের ব্যবধান খুব সামান্য। ছয়টি আসনে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে হেরেছেন। তৃতীয়ত, এমন ভূমিধস বিজয়েও কিয়ার স্টারমার তার নিজের আসনে গতবারের চেয়ে প্রায় ১০ হাজার কম ভোট পেয়েছেন।
পূর্বসূরি জেরেমি করবিনকে মনোনয়ন না দেওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে যে বিপুল বিজয় পেয়েছেন, সেটিও স্টারমারের জন্য সুখকর হয়নি। কেননা, স্টারমারের পাশের আসনই করবিনের এবং লেবার পার্টি সেখানে বাড়তি শক্তি নিয়োগ করেও সফল হয়নি।
এই নির্বাচনে ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা ও দখলদার ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাজ্যের নিঃশর্ত সমর্থনের বিষয়টিও মূলধারার রাজনীতিকদের জন্য একটি কড়া বার্তা দিয়েছে। লেবার পার্টির প্রার্থীদের মধ্যে প্রভাবশালী একজন সদস্য জোনাথন অ্যাশওয়ার্থ পরাজিত হয়েছেন। দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিতে ছায়া মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন এমন একজন সদস্য জেস ফিলিপসও সামান্য ভোটের ব্যবধানে তার আসন রক্ষা করতে পেরেছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়ার্কার্স পার্টি প্রধানত গাজা ইস্যুতেই সেখানে লেবার পার্টির বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছিল। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যে ছয়জন বিজয়ী হয়েছেন, তারা সবাই গাজায় যুদ্ধবিরতি, মানবতাবিরোধেী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলকে অস্ত্র ও কূটনৈতিক সমর্থনের অবসান, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার।
রাজনীতিক হিসেবে লেবার পার্টিতে কিয়ার স্টারমারের দীর্ঘদিনের ইতিহাস থাকলেও তার ব্যক্তিত্বে টনি ব্লেয়ারের মতো তারকাদ্যুতি নেই। বিচার বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ প্রসিকিউশন সার্ভিসের পরিচালক হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকলেও এর আগে কখনো তিনি মন্ত্রিসভায় ছিলেন না। দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি যেসব রাজনৈতিক অঙ্গীকার করেছিলেন, তা ছিল অনেকটাই করবিনের বামপন্থী চিন্তাচেতনার কাছাকাছি। কিন্তু গত কয়েক বছরে তিনি ধীরে ধীরে সেসব নীতি পরিত্যাগ করে মধ্যম পন্থা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ডানপন্থী রক্ষণশীল নীতি গ্রহণ করেছেন।
গণমাধ্যম জগতের সম্রাট হিসেবে খ্যাত রুপার্ট মারডকের মালিকানাধীন দ্য সান পত্রিকাকে তিনি বর্জনের ঘোষণা দিলেও কয়েক বছরের ব্যবধানে সেই পত্রিকায় লিখেছেন। এই সান পত্রিকার অনুষ্ঠানেই তিনি সরকার গঠনের পর অভিবাসন সমস্যার সমাধান হিসেবে প্রথমেই কথিত অবৈধ অভিবাসনকামীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর কথা ঘোষণার সময়ে উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশিদের কথা বলেছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম হয় এবং তার প্রভাব বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকার ভোটেও কিছুটা প্রতিফলিত হয়েছে, যদিও নির্বাচনের আগে তিনি বিষিয়টির ব্যাখা দিয়েছেন। তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় থেকেই বাংলাদেশিদের সঙ্গে লেবার পার্টির ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ইতিহাস রয়েছে।
লেবার পার্টির নেতা হিসেবে স্টারমার যে অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনের কর্মসূচির কথা বলেছেন, তা কার্যত কনজারভেটিভ পার্টির থেকে খুব একটা আলাদা নয়। কৃচ্ছ্রের অবসান ঘটানোর কথা বললেও তার অর্থায়ন কীভাবে হবে, তা তিনি স্পষ্ট করেননি। নাগরিকদের প্রত্যাশিত সেবা ও সুবিধাগুলো পুনর্বহালের কোনো অঙ্গীকার নেই। শিশুদের জন্য ভাতা বাড়বে না, শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি কমানোর প্রতিশ্রুতি নেই, পরিবেশবান্ধব বা সবুজ অর্থনীতি গড়ে তোলার কর্মসূচি পরিত্যাগ—এগুলোর কোনোটির প্রতি জনমত জরিপে সমর্থন দেখা যায়নি। ফলে অর্থনীতিতে কোনো বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। রাজনীতিতেও তিনি অতীতে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডস বিলোপ এবং নির্বাচনব্যবস্থায় সংস্কার করে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের কথা বললেও এখন সেগুলো হিমঘরে চলে গেছে। ক্ষমতা হারানো কনজারভেটিভের বিপরীতে লেবারের সরকার গঠন তাই অনেকের কাছেই ‘মন্দের ভালো’ ছাড়া আর কিছু নয়।
পার্লামেন্টে রিফর্ম নেতা নাইজেল ফারাজের বিরোধী কণ্ঠ হওয়ার দাবি মোটেও উপেক্ষণীয় নয়। ভোটের বিশ্লেষণে দেখা যায়, রিফর্মের কারণেই কনজারভেটিভ পার্টি প্রায় অর্ধশত আসন হারিয়েছে। জাতীয়ভাবে প্রাপ্ত ভোটের হিসাবে তারা তৃতীয় স্থান দখলকারী লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের থেকেও বেশি ভোট পেয়েছে, যদিও আসন সংখ্যা তাদের ৫টি আর লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের ৭২টি। ভোটের সংখ্যা তারা আগামীতে আরও বাড়াতে পারলে কনজারভেটিভ পার্টির স্থান দখলে তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ একেবারে অসম্ভব কিছু নয়।
২০২৪ সালের অস্থির, অশান্ত যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে, দীর্ঘস্থায়ী লেবার- কনজারভেটিভ দ্বি-দলীয় ব্যবস্থার পরিবর্তে এটি একাধিক মহাদেশীয় ইউরোপীয় দেশগুলির অনুরূপ বহুদলীয় ব্যবস্থায় রূপান্তর হতে পারে।
এই নতুন পার্লামেন্টে ইউরোপীয় (ইইউ) ইউনিয়নের প্রতি বেশির ভাগ সংসদ সদস্যের ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে। তবে এর মানে এই নয় শিগগিরিই ব্রিটেনের ইইউতে পুনরায় যোগদানের সম্ভবনা রয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণায় ব্রেক্সিট ছিল ঘরের হাতি। কনজারভেটিভরা এটি উল্লেখ করার সাহস করেনি কারণ জনমত এখন দৃঢ়ভাবে এই মত প্রকাশ করে যে ব্রেক্সিট তাদের দোষারোপ করা একটি ভুল ছিল লেবার পার্টি এটি (অনেক) উল্লেখ করেনি কারণ কিছু এলাকায় যারা ব্রেক্সিটকে সমর্থন করেছিল সেখানে তাদের ভোট হারানোর ভয় ছিল। এ কারণে বিজয়ী লেবার পার্টি ইইউতে পুনরায় যোগদানের প্রতিশ্রুতি দেয়নি।
লেবার পার্টি নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিল, 'আমরা ইউরোপীয় অংশীদারদের সাথে একটি উন্নত এবং উচ্চাভিলাষী সম্পর্ক' চাইবো। বিশেষ করে বরিস জনসন দ্বারা সমঝোতাকৃত বাণিজ্য ও সহযোগিতা চুক্তিতে ত্রুটির কারণে যুক্তরাজ্য এবং ইইউ-এর মধ্যে বাণিজ্যের বাধাগুলো হ্রাস করা। এর মধ্যে অন্যান্য বিষয়ের সাথে ভেটেরিনারি চুক্তি, পেশাগত যোগ্যতার পারস্পরিক স্বীকৃতি, ট্যুরিং পারফর্মারদের জন্য ভিসা ছাড় (উল্লেখযোগ্যভাবে সঙ্গীতশিল্পী এবং অভিনেতা)।
ইইউর কিছু বিকেন্দ্রীভূত সংস্থা (অন্তত পর্যবেক্ষক বা সহযোগী সদস্য হিসেবে) যেমন ইউরোপোল-এ পুনরায় যোগদান করা।
ইইউর এর সাথে একটি নিরাপত্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা। ইউক্রেনের পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এবং বিশেষ করে যদি ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্নির্বাচিত হন তাহলে এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে। বিশদ অর্থে নিরাপত্তা অন্তর্ভুক্ত করবে - শুধু সামরিক সহযোগিতা নয় নিষেধাজ্ঞা, সাইবার নিরাপত্তা সন্ত্রাসবাদ, পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং আরও অনেক কিছুতে পরিবর্তন আসতে পারে।
পাশ্চাত্য গণতন্ত্রের দেশগুলোয় বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকায় যখন জনতুষ্টিবাদের মোড়কে কট্টর ডানপন্থীদের উত্থান একটি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন যুক্তরাজ্যে বামঘেঁষা মধ্যপন্থী কিয়ার স্টারমারের সাফল্য অনেকের জন্যই সাময়িক স্বস্তির বিষয়। কিন্তু আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে যদি সাধারণ ব্রিটিশদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় কোনো পরিবর্তন না ঘটে, আয় না বাড়ে, সংসারে স্বাচ্ছন্দ্য না ফেরে, সরকারি স্বাস্থ্যসেবা ও প্রবীণদের সেবাসহ নানারকম নাগরিক সেবাব্যবস্থায় দৃশ্যমান উন্নতি না ঘটে, তাহলে এই সাময়িক স্বস্তি যেকোনো সময়েই হাওয়ায় মিলিয়ে যেতে পারে।
কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টির সরকার সাধারণ ব্রিটিশদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় সাময়িক স্বস্তি কিংবা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যাপারে ইতিবাচক থাকলেও মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে পূর্বসূরিদের থেকে খুব বেশি পরিবর্তন আনবে বলে মনে হয় না। যদিও গত ২৬ জুলাই দেশটি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিতে নিজেদের আপত্তি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এতে করে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) পরোয়ানা জারির পথ সুগম হয়েছে। যুক্তরাজ্যের নতুন সরকার যে ইসরাইলের প্রতি কিছুটা কঠোর অবস্থান নেবে— আপত্তি তুলে নেওয়ার মাধ্যমে সেটিরও ধারণা পাওয়া গেছে। এছাড়া দেশটিতে এবার বেশ কয়েকজন মুসলিম এমপি ও মন্ত্রী হয়েছেন যাদের বেশির ভাগই ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরাইলের গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার।
তবে ইরানের ব্যাপারে যুক্তরাজ্য তার প্রধান মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পথেই হাঁটবে বলে সাম্প্রতিক সময়ে ইয়েমেনি হুতিদের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ থেকে ধারনা করা হচ্ছে। এছাড়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইউক্রেনের ওপর থেকেও দেশটির সমর্থনে বড় পরিবর্তন আসবে বলে মনে হয় না।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মন্তব্য করুন