নাম - ছবি : সংগ্রহীত
প্রসঙ্গ উট...
উট দুই প্রকার-
১/ উটপাখি অর্থাৎ অস্ট্রিচ পক্ষীজগতের সবচেয়ে উঁচু (৩ মিটার), সবচেয়ে ওজনদার (১৫০ কেজি) এবং সবচেয়ে দৌড়বাজ (৭০ কিমি/ঘণ্টা) কিন্তু উড়তে অসক্ষম পাখি। দুই পা বিশিষ্ট এই পক্ষীকুলের ডিম সবচাইতে বড় (দেড় কেজি) এবং ইনাদের পায়ে ২টি মাত্র আঙুল।
দু:খের বিষয় এতোকিছু থাকার পরেও উটপাখি ভীতু প্রকৃতির। বিপদে পড়লে ইনারা শুয়ে লুকিয়ে পড়ে অথবা কাপুরুষ (নাকি কামহিলা!!!) এর মতো দৌড়ে পালিয়ে যায়। কোণঠাসা হয়ে পড়লে অবশ্য ছেলে উটপাখি বীরপুরুষের মতো আর মেয়ে উটপাখি বীরমহিলার মতো শক্তিশালী পা দিয়ে লাথি দেয় কিংবা শক্ত ঠোঁট দিয়ে ঠোকর দেয়। চরিত্রের দিক থেকে এই পক্ষী একটু ‘ইয়ে’ টাইপের... মানে এক-একটি পুরুষ উটপাখি তার নিজস্ব এলাকা দখল করে ফেলে এবং তার হারেমে(!) ২ থেকে ৭ টি স্ত্রী উটপাখি থাকে। (বিশ্বাস করুন আমি বানিয়ে বানিয়ে বলিনি.., গুগল আপা সাক্ষী...)
২/ দ্বিতীয় প্রকারের উট ইংরেজিতে ক্যামেল নামধারী স্তন্যপায়ী চতুষ্পদ প্রানী। আমাদের অতি পরিচিত গরুর সাথে উটের অনেক মিল। ইনার পায়েও গরুর মতো চেরা খুর যদিও উটের পায়ের তলায় নরম প্যাড আছে যা গরুর নেই।গৃহপালিত উটের মাংস ও দুধ খাওয়া হয়। পবিত্র কুরবানীর ঈদে উট ভাইয়ারা ধনী ক্রেতাদের নজরে পড়েন এবং বিশালাকৃতির গরুর উপর চাপ কমাতে সাহায্য করেন।
গরুর মতো উটও ‘রোমন্থন’ করে বা জাবর কাটে। ইনারা অত্যন্ত ভদ্র প্রকৃতির হয়ে থাকেন। প্রমাণস্বরূপ বলতে পারি উট বিনা বাক্য ব্যয়ে মনিবের মালপত্র বহন করে, গাড়ি টানে। এবং সবসময় মাথা নীচু করে কুঁজো হয়ে থাকে। যদিও গুগল আপা বলেছেন “উট বা ‘উষ্ট্র’ কুঁজ-বিশিষ্ট একটি চতুষ্পদ প্রানী”— সুতরাং যে কেউ ভাবতেই পারেন যে ‘কুঁজ থাকলে তো কুঁজো হবেই’...
কিন্তু আমি নিশ্চিত বলতে পারি যে উট অতিশয় বিনয়ী প্রজাতির প্রানী... কেননা আমার মতো স্বাস্থ্যবান মানুষকে কোনো রকম আপত্তি ছাড়াই পিঠে উঠিয়ে ৪০ মিনিট সাহারা মরুভূমিতে চক্কর কাটার পরও আমার অনুরোধে উট বাবাজি সেলফি তুলতে রাজি হয়ে গেলেন..!
কুইজ অব দ্য পোস্ট: এই সেলফি নাম কি হতে পারে..? উটফি..? নাকি ক্যামেলফি...?
অনলাইন ডেস্ক