নাম - ছবি : সংগ্রহীত
জাতিসঙ্ঘের সদস্য দেশের সংখ্যা ১৯৩টি। এর মধ্যে ১০টি দেশের সাথে ইসরাইল দূতাবাস জেরুসালেমে স্থানান্তরে রাজি করানোর জন্য আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। বাকি ১৮৩টি দেশের সাথে কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থায় দেশটি নেই। কূটনৈতিকভাবে বেশ পিছিয়ে আছে দেশটি।
জানা যায়, জেরুসালেমে রাজধানী করার পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য দশটি দেশের সাথে যোগাযোগ করছে ইসরাইল। ফিলিপাইন, হন্ডুরাস, রোমানিয়া, দক্ষিণ সুদান তাদের মধ্যে অন্যতম। ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পর গুয়েতেমালার সমর্থনও পেয়েছে দেশটি।
অন্য যে দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলি দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা চলছে বলে শোনা যাচ্ছে, সেগুলো হল- দক্ষিণ আমেরিকার দেশ প্যারাগুয়ে এবং পশ্চিম আফ্রিকার দেশ টোগো।
৬ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত ও ইসরায়েলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। ট্রাম্পের ওই ঘোষণার পর জেরুজালেম প্রশ্নে যেকোনও সিদ্ধান্ত কার্যকরের আইনি বৈধতা না দিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের জরুরি বৈঠকে বিপুল ভোটে একটি প্রস্তাব পাস হয়। ইসরায়েলসহ মাত্র ৯টি দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন দেয়।
ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক কমানোর কথা ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনের পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস শহরকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষমতাসীন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস বা এএনসি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এক বিবৃতিতে দলটি জানিয়েছে, বুধবার জোহানেসবার্গ শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। এএনসি বলেছে, দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সর্বোচ্চ ফোরাম সর্বসম্মতভাবে দ্রুত ও নিঃশর্তভাবে ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক কমানোর কথা ঘোষণা করেছে।
এএনসি বলছে, ইসরাইলে দূতাবাসের পরিবর্তে এখন লিয়াজোঁ অফিস রাখা হবে। নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বাস্তব সমর্থন দেয়ার অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। দলটি বলছে, ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের জন্য ইসরাইলকে মূল্য দিতে হবে- সে বিষয়ে তেল আবিবের কাছে এখন পরিষ্কার বার্তা যাবে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক