news-details

কুষ্টিয়ায় আপন ভাতিজার হাতে খুন হলেন স্কুল শিক্ষিকা

ছবি : ঘাতক নিশাত ইনসেটে ফুফু রোকসানা খানম রুনা


নিজ সন্তানের মত মানুষ করা আপন ভাতিজার হাতেই খুন হয়েছেন কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সিনিয়র শিক্ষিকা রোকসানা খানম রুনা (৫২)। ভাতিজা নওরোজ কবির নিশাত (২০) একাই ঠাণ্ডা মাথায় শীল দিয়ে মাথায় পরপর দুটি আঘাত করে ঘুমন্ত ফুফু রোকসানা খানম রুনাকে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই  রহস্য উন্মোচন ও হত্যাকারীকে করেছে পুলিশ।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং ডি ব্লকের ২৮৫নং নিজ বাসার শয়নকক্ষের বিছানার ওপর থেকে রোকসানা খানম রুনার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

ছয় তলা বাড়ির চার তলার একটি ফ্ল্যাটে মা এবং বড় ভাইয়ের সাথে থাকত নিশাত। ২০১৩ সালে ভাইয়ের মৃত্যুর পর ভাইয়ের অসহায় পরিবারকে বিনা ভাড়ায় ওই বাড়িতে থাকতে দিয়েছিলেন স্কুল শিক্ষিকা রুনা। দুই ভাইয়ের মধ্যে নিশাত ছোট। মা কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লারিক্যাল পোস্টে চাকরি করেন। বড় ভাই নির্ঝর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের ছাত্র। 

সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সদস্যরা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে টানা প্রায় ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ভাতিজা নওরোজ কবির নিশাত অকপটে ফুফু রোকসানা খানম রুনাকে হত্যার কথা স্বীকার করে। ঘাতক নওরোজ কবির নিশাত স্কুলশিক্ষিকা রুনার আপন বড় ভাই মৃত একেএম নূরে আসলামের ছোট ছেলে।

নিজ বাড়ির ৪র্থ তলার একটি ফ্ল্যাটে বিনা ভাড়ায় থাকতে দিয়েছিলেন। আদরের ভাতিজা নিশাতকে কিছু দিন আগে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা দিয়ে একটি বাইকও কিনে দেন।

মূলত নিশাত একজন মাদকাসক্ত। একই সাথে সে আইপিএলসহ বিভিন্ন অনলাইন জুয়ায় আসক্ত। জুয়া খেলতে গিয়ে ধার দেনায় পড়ে যায় নিশাত। কিছুদিন পূর্বে ফুফুর দেয়া বাইকও বিক্রি করে দেয় সে।

উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপন নিয়ে প্রায়ই ফুফু বকাঝকা করায় তার প্রতি চরম ক্ষোভ জন্মে মাদকাসক্ত নিশাতের। এ কারণেই সে ফুফুকে ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার ছক তৈরি করে। 



এনএনবিডি ডেস্ক: