news-details

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে যা হচ্ছে বাংলাদেশে

ছবি: সংগৃহীত


বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মেরুকরণ যেমন হচ্ছে, তেমনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও নানা কৌশলে বিরোধীদের কোণঠাসা করতে বদ্ধপরিকর। একই সঙ্গে পুরোনো মিত্রদের অটুট রাখাসহ নতুন মিত্রও খুঁজছে। তবে তেমনা সাড়া পাচ্ছে না বলেও বিশ্লেষকরা মনে করছেন। 

রাজনৈতিক পরিস্থিতির মূল্যানে দেখা যাচ্ছে দিন যত ঘনিয়ে আসছে সরকার তত বেশি ভূয়া মামলা কিংবা পুরোনো মামলায় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার কৌশল অবলম্বন করছে বলে অভিযোগ করছে বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো। সরকারের এই কৌশলকে অপচেষ্টা বলে আখ্যা দিচ্ছেন তারা। 

এসব মামলায় বিরোধী দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের কারাগারে আটকে রেখে চাপ সৃষ্টির চেষ্টাও করছেন ক্ষমতাসীনরা। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এসব কাজে ব্যবহার করা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। বিদেশি মিশন ও দূতাবাসগুলোও এসব বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন। একই সঙ্গে তারা মৌলিক অধিকার রক্ষা এবং সহনশীলতা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার তাগিদ দিয়ে আসছেন। 

দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে  উঠে এসেছে যে সঠিক তদন্ত ছাড়াই গোঁজামিলের চার্জশিট দাখিল করা হচ্ছে আদালতে। যদিও আদালতে এসব মামলা শেষ পর্যন্ত টিকছে না। তবু প্রতিপক্ষকে কারাগারে কিছুদিন আটকে রাখার কৌশল হিসেবেই এই কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ মিলেছে।

এ ব্যাপারে পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কেউ যদি ভুয়া মামলা করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব। পাশাপাশি কোনো পুলিশ কর্মকর্তা যদি এ ধরনের মামলায় চার্জশিট দেন, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


এনএনবিডি ডেস্ক: