মিজানুর রহমান ও তার বন্ধু
সোনালী সূর্য উঠার সাথে সাথেই সবাই হাজির লালকুঠি লঞ্চ ঘাট। ২রা ডিসেম্বর/২৩ দিনটি ছিল চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ তম ব্যাচের""' চলো যাই ইলিশ এর বাড়ি চাঁদপুর মিলনমেলা। সবার বয়স ষাট এর কাছাকাছি। কিন্ত সতীর্থরা সবাই যেন ১৮ বয়সের যুবক/যুবতী।
চাঁদপুরগামী বোগদাদিয়া ৭ রির্জাভেশন করা হয়েছে। বন্ধুরা আনন্দ করবে বলে পুরো লঞ্চটিকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। লঞ্চে ঢুকেই দোস্ত কেমন আসিছ? বুকে জড়িয়ে ধরে হৃদয় নিংড়ানো ভালোলাগা ও ভালোবাসার স্বাদ নেয়া। কি করে ভুলি তোকে বন্ধু? দূরন্ত বালকের ন্যায় লঞ্চে টই টই করে ঘুরাঘুরি ও আড্ডায় মগ্ন থেকে ঢাকা থেকে সোয়া তিন ঘন্টার পরিবেশ বান্ধব অগ্রহায়ণের হিমেল হাওয়ায় লঞ্চ ভ্রমণ...’ ‘সে যেন এক নষ্টালজিকের মুগ্ধতা’।
লঞ্চে সকালের নাস্তায় হেলাল ভাবীর তৈরি পাঠিসাপটা ও অন্যান্য শীতের পিঠার আয়োজন ক্ষণে ক্ষণে চা/ কফি ভোজন রসিকদেরকে অন্যরকম তৃপ্তি এনে দেয়। গান বাজনা প্যারোডি হুই হুল্লোড়ে কমতি ছিল না। আমন্ত্রিত শিল্পী ও বন্ধু শিমুলের গান মন্টুর অনবদ্য নাচ কবি আনারকলি ও শিশির এর কবিতার মূর্ছনায় সময়টা বেশ কেটেছে।
অন্যদিকে বন্ধু লাভলুর বউকে আনতে না পারার হা-হুতাশ। চিরসবুজ ইকবালের স্ব পরিবারে আগমন,মুকুল, এনায়েত, রাজ্জাক, তৈমুর, সঞ্জয় এর ঐকান্তিক ভালোবাসা। শ্যামল আর অঞ্জলীর নায়ক/নায়িকা ভাব, বান্ধবী লিলির ইনকাম ট্যাক্সের ভীতি এবং দেশ-বিদেশ ভ্রমণ পিয়াসু বন্ধু ড. কবির, সাংবাদিক কলামিস্ট বন্ধু মিজান, হেলাল ও শফিক এর ভাবনায় কখন যে চাঁদপুর পৌঁছে গেলাম বুঝতেই পারিনি।
লঞ্চ থেকে নেমে বং ঙ্গবন্ধু চত্বরে তিন নদীর মোহনায় ফটোসেশান শেষে দুপুরের লাঞ্চ এর জন্য চাঁদপুর এলিট হোটেলে ইলিশের বহুপদীয় খাবার গ্রহণ। একই লঞ্চে ফেরেন তারা। ভাগ্য যাচাইয়ের জন্য র্যাফেল ড্রয়ের মাধ্যমে পুরস্কার প্রাপ্তি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ ব্যাচের অনেক উচ্চপদস্থ সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা ও পরিবার পরিজনসহ ঐ দিনের নৌবিহারে ভ্রমণ সত্যিই স্মৃতির মনিকোঠায় স্থান করে নেবে বন্ধুদের মাঝে।
লেখক: মিজানুর রহমান,১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
নিউজ ডেস্ক