news-details

সরফুদ্দীনের জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক হয়ে ওঠার গল্প: রসিক নির্বাচন

নাম - ছবি : সংগ্রহীত


এনএনবিডি ডেস্ক:প্রথমবারের মত দলীয় প্রতীকে এই ভোটযুদ্ধের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন রংপুরের দ্বিতীয় নগর পিতা। কে হচ্ছেন নগর পিতা- এনিয়ে গোটা শহরে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু, জাতীয় পার্টির (এ) মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী কাওসার জামান বাবলার মধ্য থেকেই নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন নগর পিতা।

এক নজরে দেখে নেয়া যাক, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টুর বেড়ে ওঠা আর রাজনীতির গল্প। ঝন্টু জীবনের অধিকাংশ সময় দিয়েছেন রাজনীতিতে। করেছেন মুক্তিযুদ্ধ। বিভিন্ন সময় বরণ করেছেন কারাবাস। নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভা চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য হিসেবেও। তিনিই রংপুর সিটির বর্তমান মেয়র। গতবারের মতো এবারের নির্বাচনেও তার ওপরই আস্থা রেখেছে আওয়ামী লীগ।

রংপুরের রাজনীতিতে ঝন্টু একটি অতিপরিচিত নাম। উঠে এসেছেন একেবারে তৃণমূলের রাজনীতি করে। ১৯৫২ সালের ৭ জুলাই রংপুরের ইঞ্জিনিয়ার পাড়ায়, সরকারি কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহমেদ ও জোবেদা খাতুন দম্পতির ঘরে জন্ম সরফুদ্দীন আহম্মেদের। চার ভাই দুই বোনের সবচেয়ে আদরের ছিলেন তিনি।

১৯৫৮ সালে শালবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখায় হাতেখড়ি। ১৯৬৭ সালে জিলাস্কুল থেকে পাস করেন মাধ্যমিক। উচ্চ মাধ্যমিক করেন ১৯৬৯ সালে রংপুর সরকারি কলেজ থেকে। একই বিদ্যাপীঠ থেকে ১৯৭১ সালে পাস করেন বি.কম। ডিগ্রিতে পড়ার সময়ই যোগ দেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। সশস্ত্র যুদ্ধ করেন ৬ নম্বর সেক্টরে। তার নেতৃত্বেই রংপুর ক্যান্টনমেন্ট শত্রুমুক্ত হয়।

ছাত্র জীবনেই রাজনীতিতেই জড়িয়ে পড়েন ঝন্টু। ১৯৬৮ সালে রংপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন তিনি। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তিন তিনবার কারাবরণও করতে হয়েছে তাকে। প্রথমবার জনপ্রতিনিধি হন ১৯৮৭ সালে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে।

১৯৯২ সালে হন পৌরসভার চেয়ারম্যান। এর মাঝেই, ১৯৯৬ সালে রংপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে। পরে ২০১২ সালে রংপুর সিটি কর্পোরেশনে প্রথম নির্বাচনে নগর পিতার দায়িত্ব পান তিনি।


এনএনবিডি ডেস্ক