news-details

ছয় মাসে ১০০৪ টি রাজনৈতিক সহিংসতায় ৯১ জন নিহত আহত ৪০২৬ জন

প্রতিকী ছবি


স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক অনেক সাফল্য অর্জন করলেও আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও জনগনের ভোটাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সভা সমাবেশ করার অধিকার, সামাজিক নিরাপত্তা, নারীর অধিকারসহ সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির আশাব্যাঞ্জক অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা এবং আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তি থাকা সত্বেও বাংলাদেশে নিয়মিত মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের ও ছাত্রলীগের অন্তর্কোন্দলে সহিংসতা, নির্বাচনী সহিংসতা, শান্তিপূর্ণ সভা সমাবেশে বাধা দেওয়া, রাজনৈতিক গ্রেফতার, আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আইনবহির্ভূত আচরণ, বিচারবহির্ভূত হত্যা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, আইন বহির্ভূত আটক রাখা, সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ, সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশী নির্যাতন ও হত্যা, নারীর প্রতি সহিংসতা এবং গণপিটুনীতে মানুষ হত্যা অব্যাহত রয়েছে। 

এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রলীগের সহিংসতা এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল। এছাড়াও, গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বাংলাদেশ—মিয়ানমার সীমান্তে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর সংঘাত চলছে। এতে ব্যবহার করা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতরে এসে পড়ছে। এসকল ঘটনায় সীমান্তবর্তী মানুষের মধ্যে ভীতিকর পরিবেশ ও হত্যার মত ঘটনা ঘটেছে।  

বাংলাদেশের ১২টি জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ এবং এইচআরএসএস এর তথ্য অনুসন্ধানী ইউনিটের তথ্যের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের ১ম ৬ মাসের মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এসকল তথ্য উঠে এসেছে। 

গত ছয় মাসে ১০০৪ টি “রাজনৈতিক সহিংসতার” ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৯১ জন, আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪০২৬ জন। যার অধিকাংশই নির্বাচনী সহিংসতা, আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্রিক ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের ও ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রলীগের অন্তর্কোন্দল কেন্দ্রিক সংঘর্ষে, এবং বিরোধাীদলীয় নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা। নিহত ৯১ জনের মধ্যে ৭০ জনই সরকারি দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থক। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রলীগের আধিপত্য বিস্তার ও অন্তর্কোন্দলের অন্তত ৫০ টি সহিংসতার ঘটনায় ১ জন নিহত ও কমপক্ষে ৪৮০ জন আহত হয়েছেন। তাছাড়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির দ্বারা কমপক্ষে ৭১৪ জন রাজনৈতিক নেতা—কর্মী গ্রেফতারের শিকার হয়, তন্মধ্যে বিএনপি—জামায়াতের ৫৭৪ জন। এই ছয় মাসে, বিরোধীদলের নেতা—কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কর্মসুচিকে কেন্দ্র করে কমপক্ষে ৪৫ টি মামলায় ৬৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ২৭০২ জনকে অজ্ঞাত আসামী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের দ্বারা কমপক্ষে ৯৯ টি সভা—সমাবেশ আয়োজনে বাধা প্রদানের ঘটনা ঘটেছে। এসময় তাদের সাথে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৬১ জন আহত এবং মিছিল—সমাবেশ কেন্দ্রিক ৩১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিরোধী দলসমূহের ভোট বর্জন ও নাগরিকদের ভোট প্রদানের অনীহার মধ্য দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বাংলাদেশের ইতিহাসে এই দুইটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন কম ভোটার উপস্থিতির রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এছাড়া এমন কোন অনিয়ম নেই যা এই নির্বাচনগুলোতে সংঘটিত হয়নি। এটি উদ্বেগজনক যে, বিগত  ছয়  মাসে নির্বাচনী সহিংসতার অন্তত ৭৮১ টি ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪৩ জন, আহত হয়েছেন অন্তত ২৫৩৮ জন এবং কমপক্ষে ৮২০ টি গৃহ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। নিহত ৪৩ জনের মধ্যে ৩৯ জনই সরকারি দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থক। শুধুমাত্র জানুয়ারী মাসেই দ্বাদশ  জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতায় সারা দেশে অন্তত ৫২৪ টি ঘটনায় ১২ জন নিহত,  আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৩৬৪ জন, ৬০ জনের বেশি গুলিবিদ্ধ, ৩ শতাধিক গৃহ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে । এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, নির্বাচনের প্রার্থী, পোলিং এজেন্ট এবং প্রিজাইডিং অফিসাররাও আক্রমণের শিকার হয়েছেন । এর পাশাপাশি সম্প্রতি দেশে হওয়া ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতায় সারা দেশে অন্তত ২০৩ টি ঘটনায় ১৭ জন নিহত,  আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০০৪ জন, ২০ জনের বেশি গুলিবিদ্ধ, ৩৫০ টির বেশি গৃহ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

২০২৪ সালের ১ম ৬ মাসে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা/হেফাজতে বিচারবহির্ভুত হত্যাকান্ডের ১২টি ঘটনার শিকার হয়েছেন ১২ জন । যাদের মধ্যে ০২ জন তথাকথিত ক্রসফায়ার/বন্দুকযুদ্ধের নামে, ০৬ জন নির্যাতনে, হেফাজতে থাকা অবস্থায় ০৩ জন এবং ০১ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। বান্দরবনে বিজিবির সাথে বন্দুক যুদ্ধে নেজাম উদ্দিন ও উখিয়াতে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে রোহিঙ্গা আব্দুল মোনাফ মারা গেছেন। ঢাকায় বডি বিল্ডার ফারুক হোসেন ও রানা, গাজীপুর টংগী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে কিশোর মারফ আহমেদ, সুনামগঞ্জে রমিজ মিয়া, রংপুরে বিএনপি নেতা মনোয়ারুল ইসলাম এবং চট্টগ্রামে রুবেল দে পুলিশের নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঠাকুরগাও-এ যুবদল নেতা আকরাম হোসেন ও যশোরে আফরোজা বেগম পুলিশ হেফাজতে এবং  ভৈরবে র্যাব হেফাজতে সুরাইয়া বেগমের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও দিনাজপুরে পুলিশের গুলিতে আলী কাচুয়ার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া কারা হেফাজতে বিএনপির ২ জনসহ ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাঁরা কারা হেফাজতে মারা গেছেন তাদের মধ্যে কয়েদি ২৫ জন ও হাজতি ৩৩ জন। জেল কর্তৃপক্ষের দাবি হচ্ছে যাঁরা কারাগারে মারা গেছেন তাঁরা সকলেই অসুস্থতাজনিত কারনে মারা গেছেন কিন্তু নিহতদের পরিবারের অনেকেই নির্যাতন ও যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।

জানুয়ারি থেকে জুন এ ছয় মাসে ১২০ টি হামলার ঘটনায় ২২৩ জন সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। হামলায় নিহত হয়েছেন ২ জন, আহত হয়েছেন অন্তত ১২৮ জন, লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন ৩৯ জন, হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন ৩০ জন ও গ্রেফতার ০৩ জন। ১৫ ই  ফেব্রুয়ারীতে জাতীয় দৈনিক ভোরের কাগজ এর বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলা প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু'র (৫২) দ্বি-খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবে দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার বরগুনা জেলা প্রতিনিধি তালুকদার মাসউদকে বেধড়ক মারধরের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ লা মার্চ মৃত্যু হয়েছে । সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ এর অধীনে দায়ের করা ১৯ টি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ১২ জন এবং অভিযুক্ত করা হয়েছে ৬২ জন। এছাড়া “সংখ্যালঘু” সম্প্রদায়ের উপর ২৬ টি হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন ২২ জন এবং ০৬ টি প্রতিমা, ০৬ টি মন্দির ও ৩৪ টি বসতবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও বিভিন্ন ঘটনায় সংখালঘু সম্প্রদায়ের ৬ জন নিহত হয়েছেন। মাদারীপুরের কালকিনিতে বেদে সম্প্রদায়ের অন্তত ২০টি ঘরবাড়িতে হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।

গত ছয় মাসে ১৮৩ টি শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬১ জন এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৭২ জন। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং শ্রমিকদের সুরক্ষামূলক সরঞ্জামের অভাবে দুর্ঘটনায় ৯২ জন শ্রমিক তাদের কর্মক্ষেত্রে মারা গেছেন। এ সময়ে ১০ টি গৃহকর্মীর নির্যাতনের ঘটনায় ৮ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ০২ জন। ফরিদপুরের মধুখালিতে স্কুলের নির্মাণকজে অংশগ্রহণকারী তরূণ শ্রমিকদের উপরে পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করে দুইজন শ্রমিককে হত্যা ও বেশ কয়েকজন শ্রমিককে আহত করা হয়। এটি উদ্বেগজনক যে, এই ছয় মাসে “গণপিটুনির” ৪৪ টি ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩০ জন এবং আহত হয়েছেন ৩৪ জন। এছাড়াও “ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)” কর্তৃক ৩৩ টি হামলার ঘটনায় ১৬ জন বাংলাদেশী নিহত, ১৬ জন আহত ও ৩৫ জন গ্রেফতার হয়েছেন। মৃতদের মধ্যে একজন বিজিবি সদস্য এবং একজন কিশোরও ছিলেন। এটি খুবই উদ্বেগজনক যে, সম্প্রতি বাংলাদেশ—মিয়ানমার সীমান্তে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর সংঘাত চলছে। এতে ব্যবহার করা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতরে এসে পড়ছে। ইতিমধ্যে মিয়ানমার থেকে আসা গোলাবারুদের আঘাতে একজন রোহিঙ্গাসহ ০৪ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২১ জন। এসকল ঘটনায় সীমান্তবর্তী মানুষের মধ্যে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কখনো কখনো সীমান্তে ভীতিকর পরিস্থিতির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছে।

গত ছয়  মাসে ৯১৭ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩৪৩ জন, যাদের মধ্যে আশঙ্কাজনকভাবে ১৮৯ জন (৫৫%) ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় যে, ৭৮ জন নারী ও কন্যা শিশু গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন, এবং আত্মহত্যা করেছেন ০৬ জন। ২১৬ জন নারী ও কন্যা শিশু যৌন নিপীড়ণের শিকার হয়েছেন তন্মধ্যে শিশু ৮৭ জন।  যৌতুকের জন্য ৬০ টি নির্যাতনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩০ জন, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২৬ জন এবং আত্মহত্যা করেছেন ৪ জন নারী। পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন ১৭৩ জন, আহত হয়েছেন ৫০ জন এবং আত্মহত্যা করেছেন ৬৯ জন নারী। এসিড সহিংসতার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ৬ জন। অন্যদিকে, এটি উদ্বেগজনক যে, ৭৯৭ জন শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন যাদের মধ্যে ২৯১ জন প্রাণ  হারিয়েছেন এবং ৫০৬ জন শিশু শারীরিক ও মানষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। 

রিপোর্টে বর্ণিত পরিসংখ্যানের চেয়ে প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি।  এমতাবস্থায় দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে বিরোধী দলসমূহের সাথে আলোচনার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উন্নয়ন করা জরুরী। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জনগনের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আর এ সকল বিষয় বাস্তবায়ন করতে না পারলে দেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি আরো অবনতির দিকে যাবে।  তাই “হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি”র পক্ষ থেকে সরকারকে মানবাধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে এবং দেশের সকল সচেতন নাগরিক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও দেশি—বিদেশী মানবাধিকার সংগঠন গুলোকে আরো সোচ্চার হওয়ার আহবান জানাচ্ছে।


প্রেস বিজ্ঞপ্তি