ফাইল ছবি
অবৈধভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৮ জনের নামে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৬ কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম। মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নাম রয়েছে।
আদালত সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে মামলা তদন্তের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্বে থাকা সিইসি কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদকে। ওই নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দায়িত্বে থাকা চার কমিশনারকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৮ সালে একাদশ ও ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্বে থাকা সিইসি কে এম নুরুল হুদা এবং কাজী হাবিবুল আইয়ালসহ কমিশনের সচিব ও অন্য কমিশারদের আসামি করা হয়েছে।
একই সঙ্গে নির্বাচনের মাধ্যমে গত তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী কফিল উদ্দিন বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে সংসদ নির্বাচনে বিরোধীদলসহ অনেক জনপ্রিয় নেতার অংশগ্রহণ ছিল না। সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। যারা কমিশনে ছিলেন তাদের ব্যর্থতার কারণে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নির্বাচনী মাঠে একপেশে আচরণ করেছে। বিপুল টাকা ব্যয়ে যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে তাতে সংবিধানের খেলাপ করেছেন কমিশনারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এসব কারণে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও প্রতারণা মামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, একই সঙ্গে এসব নির্বাচনে সংসদ সদস্য যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারাও অবৈধভাবে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করায় তাদেরও এ মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এএনবিডি ডেস্ক