ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় অব্যাহত রয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বর্বরতা। দেশটির হামলায় একদিনে আরও ১১১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। খবর আল জাজিরার।
গাজার স্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় একদিনে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নতুন করে আরও ১১১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। এর মধ্যে দক্ষিণ গাজার বেইত লাহিয়ায় একটি বহুতল ভবনে চালানো হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।
এ নিয়ে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ হাজার ৮৪৬ জনে। আর আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৩ হাজার ৭৪০ জনে। পোপ ফ্রান্সিস গণহত্যার অভিযোগের তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্ত্রণালয় বলেছে, উদ্ধারকারীরা পৌঁছাতে না পারায় অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। স্থানীয়রা ধ্বংসস্তুপ থেকে আটকেপড়াদের উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর হামলার কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৭০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক