ছবি: সংগৃহীত
গণমাধ্যমকে স্বাধীন, শক্তিশালী ও বস্তুনিষ্ঠ করতে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাবের লক্ষ্যে ১১ সদস্যের কমিশন গঠন করতে যাচ্ছে সরকার।
সিনিয়র সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে ১১ সদস্যের এই কমিশনের সারসংক্ষেপ প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হয়েছে। তার সম্মতি পেলেই এই বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
কমিশনের অপর সদস্যরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, দ্য ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক এবং সম্পাদক পরিষদের প্রতিনিধি শামসুল হক জাহিদ।
নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (নোয়াব) সচিব আক্তার হোসেন খান, অ্যাসোসিয়েশন অফ টেলিভিশন ওনার্সের (অ্যাটকো) প্রতিনিধি, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ।
যমুনা টেলিভিশন ও ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ, মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের সাংবাদিক ও আহ্বায়ক জিমি আমির, দ্য ডেইলি স্টারের বগুড়া জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা সবুজ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের উপ সম্পাদক টিটু দত্ত গুপ্ত, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মামুন।
সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, কমিশন অবিলম্বে তাদের কাজ শুরু করবে এবং সংশ্লিষ্ট সবার মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে।
কমিশনের প্রধান ও সদস্যদের সবাই নির্ধারিত সরকারি পদমর্যাদায় বেতন, সম্মানি ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে কেউ যদি অবৈতনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চান কিংবা কোনো সুবিধা নিতে না চান, তাহলে সেটা প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন।
প্রজাতন্ত্রের সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দফতর/সংস্থা কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনে তথ্য উপাত্ত সরবরাহসহ সব ধরণের সহযোগিতা দেবে।
কমিশন প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে এবং তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
সূত্র : বিবিসি
এনএনবিডি ডেস্ক