ফাইল ছবি
রাজধানীসহ সারাদেশে আজ মঙ্গলবার ৯৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ গার্মেন্টসই খোলা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজিএমইএ বলছে, সারাদেশে মোট দুই হাজার ৯৩টি সক্রিয় কারখানার মধ্যে দুই হাজার ৮১টির কার্যক্রম চলছে। সাভার, আশুলিয়া এবং জিরানি এলাকায় সাময়িকভাবে বন্ধ বা ছুটি রয়েছে ১২টি কারখানার (০.৫৭ শতাংশ)। অক্টোবর মাসের বেতন প্রদান করেছে এক হাজার ৯৯২টি কারখানা, শতকরা হিসেবে যা ৯৫ দশমিক ১৭ শতাংশ। অক্টোবর মাসের বেতন দেয়নি ১০১টি প্রতিষ্ঠান (৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ)।
দুই হাজার ৯৩টি কারখানার মধ্যে গাজীপুর ও ময়মনসিংহ এলাকায় ৮৭০টি, সাভার, আশুলিয়া ও জিরানি এলাকায় ৪০১টি, নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ১৯৯টি, ডিএমপি এলাকায় তিন শ’টি এবং চট্টগ্রাম এলাকায় ৩২৯টি কারখানা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে শুধু আশুলিয়া ও জিরানি এলাকার ১২টি কারখানা বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া খোলা রাখার পর কাজ বন্ধ, ছুটি বা শ্রমিকরা চলে গেছে এরকম কারখানার সংখ্যা আটটি।
শ্রমিকদের বাধার কারণে যেসব কারখানা কার্যত অচল সেগুলো হলো বেক্সিমকো গ্রুপ, ডরেন গার্মেন্টস (১৩/১ ধারায় বন্ধ), ডরেন অ্যাপারেলস (১৩/১ ধারায় বন্ধ), ডরেন ফ্যাশন (১৩/১ ধারায় বন্ধ), আইরিশ ফেব্রিক্স, কেএসি কোম্পানি লিমিটেড, এক্সাকো লিমিটেড, ওয়াইপি গাজীপুর লিমিটেড, হামিম নিটওয়্যার, অকোটেক লিমিটেড এবং উত্তরা নিটওয়্যার লিমিটেড।
শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় বলা আছে, কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো শাখা বা বিভাগে বেআইনি ধর্মঘটের কারণে মালিক উক্ত শাখা বা প্রতিষ্ঠান আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে পারবেন। একইসাথে ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী শ্রমিকরা কোনো মজুরি পাবেন না।
এনএনবিডি ডেস্ক