news-details

মেয়র হারলেও কাউন্সিলরে আমরা এক নম্বর: কাদের

নাম - ছবি : সংগ্রহীত


এনএনবিডি ডেস্ক: রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হারলেও সরকারের জনপ্রিয়তা কমেনি বলে দাবি করেছেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, “আমাদের জনপ্রিয়তা রংপুরে অনেক। মেয়রে হেরে গেলেও কাউন্সিলর আমরা বেশি পেয়েছি। ইমপর্টেন্সটা আমাদের এখন কাউন্সিলরে। কারণ ওখানে আমরা এক নম্বর।”

রংপুর সিটি ভোটে মেয়র পদে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর শোচনীয় হারের পর শনিবার সাংবাদিকদের একথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এইচ এম এরশাদের শহর রংপুরে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর কাছে প্রায় এক লাখ ভোটের ব্যবধানে হারেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বিদায়ী মেয়র ঝন্টু।

তবে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন দলীয়ভাবে না হলেও আওয়ামী লীগ নেতারাও ওয়ার্ডের পদগুলোতে জয়ী হয়েছেন বেশি। ১৪টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ নেতারা জয়ী হয়েছেন; বিএনপি আটটি এবং জাতীয় পার্টির নেতারা দুটিতে জয়ী হয়েছেন।

শনিবার বনানী কবরস্থানে প্রয়াত নেতা আব্দুর রাজ্জাকের কবরে ফুল দিতে গেলে রংপুরে ক্ষমতাসীন প্রার্থীর হার নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয়ে প্রশ্ন করেন কাদেরকে।

তিনি বলেন, “এসব নিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে বলাবলি করবে, লেখালেখি করবে। আমাদের দলীয় স্ট্যান্ড হচ্ছে, ওখানকার নির্বাচনে আমাদের অবস্থা অনেক ভালো।”

স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনের ফল জাতীয় পর্যায়ে কোনো প্রভাব ফেলবে বলেও মনে করেন না আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

“এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এটা নিয়ে জাতীয় নির্বাচনের আলোচনা হতে পারে হোক। এসব দিয়ে কি জাতীয় নির্বাচনে ফলাফল নির্ভর করবে? আমরা খুব কনফিডেন্টলি জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এগোচ্ছি। আমরা খুব কনফিডেন্ট, বিপুল সমর্থন নিয়ে বিপুল ভোটে আমরা বিজয়ী হব।”

দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক রাজ্জাকের কবরে শ্রদ্ধা জানান কাদের। তিনি বলেন, “সঙ্কটের সময়ে সাহসী নেতা ছিলেন তিনি। আমরা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।”

২০১১ সালের ২৩ ডিসেম্বর লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজ্জাক মারা যান। তিনি ১৯৪২ সালে ১ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন।

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজ্জাক স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি শরীয়তপুর-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। শেখ হাসিনার ১৯৯৬-২০০১ সালের সরকারে মন্ত্রীও ছিলেন তিনি।


এনএনবিডি ডেস্ক