নাম - ছবি : সংগ্রহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তর কোরিয়া বলছে, তাদের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র ওয়াশিংটন ডিসিতে আঘাত হানতে সক্ষম।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞাকে "যুদ্ধ ঘোষণার শামিল" বলে অভিহিত করেছে উত্তর কোরিয়া।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপ পুরোপুরিভাবে অর্থনৈতিক অবরোধের সমতুল্য।
কেসিএনএ নিউজ এজেন্সি এই খবর দিয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, 'উত্তর কোরিয়ার শক্তি বৃদ্ধিই যুক্তরাষ্ট্রকে হতাশ করার একমাত্র উপায়'।
পিয়ংইয়ং এর ব্যালিস্টিক মিসাইল টেস্টের প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ নতুন এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে অতীতের তুলনায় আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবটি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আনা হয় এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয় ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জাতিসংঘের সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞাকে বলা হয়েছে "প্রজাতন্ত্রের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হিসেবে এবং 'যুদ্ধ ঘোষণার শামিল' যা কোরীয় উপদ্বীপ ও বৃহত্তর আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা ধ্বংস করছে"।
এতে আরও বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণভাবে ভীত এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক শক্তি সম্পূর্ণ করা-ই এর ঐতিহাসিক কারণ । যুক্তরাষ্ট্র আরও বেশি উন্মত্ত হয়ে উঠছে এবং একের পর এক কঠোর নিষেধাজ্ঞা ও চাপ প্রয়োগের জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারসাম্যপূর্ণ শক্তি স্থাপনের কথাও বলা হয়েছে বিবৃতিতে।
"আমরা আমাদের আত্মরক্ষার জন্য পারমাণবিক শক্তি-বৃদ্ধিকরণ অব্যাহত রাখবো মূলত মার্কিন পারমাণবিক হুমকি, প্রতারণা এবং প্রতিকুল কর্মসূচির মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবহারিক শক্তি স্থাপনের জন্য।
দেশটি ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফ থেকে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে।
এটি ছিল উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১০ম নিষেধাজ্ঞা আরোপ।
নতুন প্রস্তাবে তেল ও পেট্রোল আমদানি কমিয়ে আনার কথা বলা হয়।
বিবিসি