নাম - ছবি : সংগ্রহীত
আবু কাওছার আহমেদ, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাকসুদুর রহমান মিল্টন সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতে অভিযোগ উঠেছে। ২০ ডিসেম্বর বুধবার ওই ইউনিয়ন পরিষদের ১২জন সদস্য সম্মিলিতভাবে টাঙ্গাইল জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারিরা হলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্য রওশন আরা, রেহেনা ও মর্জিনা আক্তার। ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছৈয়দ হালিম, ২ নং ওয়ার্ডের ফজলু মিয়া, ৩ নং ওয়ার্ডের আ. হামিদ, ৪ নং ওয়ার্ডের মো. মকবুল হোসেন, ৫ নং ওয়ার্ডের মো. আ. ছালাম, ৬ নং ওয়ার্ডের মো. বাছেদ মিয়া, ৭ নং ওয়ার্ডের মো. আয়নাল, ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আ. মালেক, ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম।
খিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, নাগবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের ভূমি উন্নয়ন কর আদায়কৃত হোল্ডিং ট্যাক্স ২০১৬-১৬-১৭ অর্থ বছরের প্রায় ১১ লক্ষ টাকা ও ইউনিয়ন পরিষদের ১২ সদস্যের বেতনের ৯ লক্ষ ৮২ হাজার চারশত টাকা আত্মসাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের জন্ম, মৃত্যু, ওয়ারিশ সনদ ও ট্রেড লাইসেন্স বাবদ প্রায় ৪ লক্ষ টাকা ও ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের মাতৃত্বকালীন কার্ড প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতি কার্ডে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা নেওয়ার কথাও লিপিত করা হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের ভিজিডি কার্ড ১৮৪টি মধ্যে ৫৫ টি প্রদান বাকি ১২৯টি কার্ড ৪-৫ হাজার টাকার করে আত্মসাতের কথা লিখিত অভিযোগে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের কর্মসংস্থান প্রকল্পের দুইধাপে ৩ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের নন ওয়েজ প্রকল্পের দুই ধাপে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মাসিক মিটিংয়ে উপস্থাপন না করেই আত্মসাৎ ও ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের ভিজিডি কার্ডের তালিকাভুক্তদের চাউল না দিয়ে স্বজনপ্রীতি, রতনগঞ্জ হাটের ৭০ হাজার টাকা আত্মসাথের অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়াও ধর্ষণের অভিযোগে গত ১৪ মার্চ কালিহাতী থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ সালের সংশোধনী ২০০৩ এর ৯ (১) ৩০ ধারার মামলা হওয়ার পর গত ১২ আগস্ট শনিবার টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশ মিল্টন সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। ৭০ দিন পর জামিনে বের হয়ে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব না বুঝে নিয়ে জোরপূর্বক ইউনিয়ন পরিষদের অবৈধ কর্মকান্ডে জড়িত হওয়ার কথা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন ১২ জন নাগবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা।
এ বিষয়ে ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. আয়নাল বলেন, নাগবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের ভূমি উন্নয়ন কর আদায়কৃত হোল্ডিং ট্যাক্স ২০১৬-১৬-১৭ অর্থ বছরের প্রায় ১১ লক্ষ টাকা ও ইউনিয়ন পরিষদের ১২ সদস্যের বেতনের ৯ লক্ষ ৮২ হাজার চারশত টাকাসহ বিভিন্ন প্রকল্পে অর্ধকোটি আত্মসাত করেছেন। সুষ্ঠূ তদন্তের মাধ্যমে সরকারের নিকট চেয়াম্যানের শাস্তি দাবি করছি।
২ নং ইউপি সদস্য মো. ফজলু মিয়া বলেন, নির্বাচিত হয়ে শপথ গ্রহনের পর আমাদের নিয়ে কোন মিটিং করে নাই। কোন প্রকল্প কোথা থেকে আসলো কোথায় বাস্তবায়ন করলো সেটাও আমাদের জানায় নাই। আমরা তার বহিষ্কার দাবি করছি।
৩ নং ইউপি সদস্য আ. হামিদ বলেন, চেয়ারম্যান গরিবের হক আত্মসাৎ করেছেন। ভিজিডি কার্ডের চাউল নামধারীদের না দিয়ে স্বজনপ্রীতি করেছেন।
ইউপি সদস্যদের লিখিত অভিযোগের ব্যপারে কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাকসুদুর রহমান মিল্টন সিদ্দিকী বলেন, লিখিত অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে বর্তমানে আমি চেয়াম্যানের দায়িত্বেও নেই।
এনএনবিডি ডেস্ক